সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জামায়াতের সঙ্গে মতভিন্নতা আছে, শত্রুতা নয়: মাওলানা ফজলুর রহমান মসজিদে নববীর ইমামকে মালদ্বীপে লালগালিচা অভ্যর্থনা মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করলে আমাদের জীবন আলোকিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা বর্তমানে ‘উলূমুল হাদিস’-এর প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশের মতো সম্প্রীতি আশপাশের দেশে খুঁজে পাবেন না: ধর্ম উপদেষ্টা ‘গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানো উম্মাহর আবশ্যিক দায়িত্ব’ নারী কমিশনের প্রস্তাবে পতিত স্বৈরতন্ত্রের সুযোগ: গাজী আতাউর বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভবনের স্বীকৃতি পেল মসজিদুল হারাম ‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর’ নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়: খেলাফত মজলিস

বেনাপোল সীমান্ত চেকপোস্টে ছেলের শোকে মারা গেলেন বাবা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া একমাত্র ছেলের মরদেহ ভারত থেকে নিয়ে আসার সময় শোকে মারা গেলেন বাবাও। তাও আবার ভারতের মাটিতেই ।

সোমবার সন্ধ্যায় পেট্রাপোল সীমান্ত চেকপোস্টে! হৃদয়বিদারক এ ঘটনাটি ঘটেছে । মঙ্গলবার সকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছেলের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর শেষে বাবার মরদেহ হস্তান্তরে আইনি প্রক্রিয়া চলছিল।

বেনাপোল সীমান্তে স্বজনদের করুণ আহাজারিতে বেদনার্ত হয়েছেন উৎসুক মানুষরাও। হতভাগ্য বাবা রফিক ছিলেন গাজীপুর মহানগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দবাড়ির বাসিন্দা। ছেলে আসাদ (১৪) ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। বেনাপোল চেকপোস্টের নো-ম্যান্‌সল্যান্ডে বাবা-ছেলের মরদেহ নিতে আসা মৃত রফিকের চাচা খন্দকার আলী জানান কষ্টের এ গল্প। তিনি জানান, একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে দেশেই আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন বাবা রফিক। সব জমিজমা বিক্রি করে ডাক্তারের পরামর্শমতো ৪ মাস ধরে ছেলের চিকিৎসার পেছনে অর্থ খরচ করেছেন।

ডাক্তারও আশ্বস্ত করে আসছিলেন, ছেলে আসাদ সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু দিন দিন ছেলের শারীরিক অবস্থা উন্নতির বদলে খারাপের দিকে যাওয়ায় বাবার মন ভালো বলছিল না। তাই তিনি আত্মীয়র পরামর্শে ছেলেকে উন্নত চিকিৎসা করাতে গত ১৪ এপ্রিল ছোটেন ভারতে। কিন্তু সেখানেও কোনো কাজ হয়নি। ভারতের ডাক্তার বলে দেন, ছেলের যে হাল করে এনেছেন, তাতে বাঁচানোর কোনো সুযোগ নেই। অযথা টাকা খরচ না করে বাড়িতে ফেরত নিয়ে যান। ছেলের নিশ্চিত মৃত্যু জেনে ১৭ এপ্রিল তাকে নিয়ে সোমবার বাড়িতে ফিরছিলেন বাবা রফিক। এরই মধ্যে হঠাৎ বেশি অসুস্থ হয়ে পথিমধ্যে মারা যায় ছেলে আসাদ।

আবার কলকাতা ফিরে গিয়ে সরকারি নিয়ম অনুসারে পাসপোর্টের কাজ শেষ করে ছেলের মরদেহ নিয়ে ফিরছিলেন। সন্ধ্যায় বাংলাদেশে ঢোকার আগ মুহূর্তে ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্টে হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ছেলের কফিনের পাশেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রফিক। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ভারতের পেট্রাপোল থানার পুলিশ বাবার মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য পাঠিয়েছে। আর ছেলের মরদেহ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশে তার স্বজনদের কাছে ফেরত দেন। বাবা-ছেলের এমন মৃত্যুর খবর শুনে একনজর দেখতে চেকপোস্টে উৎসুক মানুষের ভিড় জমেছে। তাদের সবার চোখেও বেদনার ছাপ। সীমান্তের বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, এমন খবর এর আগে কখনো শুনিনি। তাই দেখতে এসেছি।

[ভুটানে গেলেন প্রধানমন্ত্রী; হবে ৬ চুক্তি]

[যাত্রাবাড়ী মাদরাসার খতমে বুখারি ১৩ মে]

এসএস/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ