আওয়ার ইসলাম: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ক'দিন আগে আপনি দেশের সর্বজনশ্রদ্ধেয় আলেম-ওলামাদেরকে যেভাবে সম্মানিত করেছেন; দেওবন্দের উসুল ও কওমি স্বকীয়তা শতভাগ অক্ষুন্ন রেখে কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের সমমান দিয়েছেন; মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে কওমি উলামায়ে কেরামের গৌরবজ্জ্বল ভূমিকার প্রশংসা করেছেন; এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের গ্রিক মূর্তি অপসারণের বিষয়ে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন -- এর সবগুলোই আপনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও পরিপক্কতার নিদর্শন।
আপনি নিশ্চয়ই অনুভব করেছেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের প্রতিকূলে কোন হটকারী মতামতকে জোড় করে চাপিয়ে দেয়াটা বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে পারে। তাছাড়া শাপলা চত্বরের বিভীশিখাময় কলংক মাথায় নিয়ে আওয়ামী লীগের মত বৃহৎ রাজনৈতিক দলের ভবিষ্যত রাজনীতি কতটাই বা মারাত্মক হতে পারে!
এটাকে রাজনীতি বলুন কিংবা আপনার ঈমানী দায়িত্ববোধ বলুন-- আলেম-ওলামাদের প্রতি আপনার অসাধারণ ভক্তিপূর্ণ শ্রদ্ধাবোধ পুরো জাতিকে মুগ্ধ করেছে। দেখুন, যাকে আপনি নিত্যদিন হেয় প্রতিপন্ন করে গালাগাল করেছেন, সেই তিনিই দেশের সব শীর্ষস্থানীয় আলেমদের সাথে নিয়ে সেই আপনার জন্যই মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া চেয়েছেন। একজন মুসলিমের জন্য এর চেয়ে মূল্যবান আর কি হতে পারে?
অথচ সপ্তাহ যেতে না যেতেই আপনি গুটিকয়েক বিপথগামীর প্ররোচনায় আপনার নিজের প্রদত্ত অঙ্গীকার থেকে সরে এসে বিভিন্ন রকমের বিকল্পতার প্রস্তাব দিচ্ছেন!
আপনাকে মনে রাখতে হবে --
আপনার দল, দলের প্রতিষ্ঠাতা, দলের সভানেত্রী কিংবা দলের সিংহভাগ নেতা-কর্মীরা নাস্তিক-মুরতাদ নন।
নাস্তিক-মুরতাদরা কখনই তাদের নির্বাচনী আসনে দুয়েকশ'র বেশী ভোট পায় না!
এদেশের মানুষ কখনই নিজেকে নাস্তিক-মুরতাদের বংশধর দাবী করে গর্ববোধ করে না। বরং আলেম-ওলামা-ওলী কিংবা সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান বলেই নিজেদেরকে পরিচয় দিতে গর্ব অনুভব করে।
আপনার সামনে বড় একটা সুযোগ এসেছে। আশা করি বিভ্রান্ত-বিপথগামীদের প্ররোচনায় নিজেদের সর্বনাশ করবেন না।
এসএস/