ভোটার তালিকা হালনাগাদকালে বর্তমানে যাদের বয়স ১৪ বছর, তাদের তথ্য সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, এমন নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। খবর এনটিভি
এ ক্ষেত্রে যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৩ বা তার আগে, এই ধরনের নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন।
সচিব বলেন, ‘২০১৮ সালে যাঁরা ভোটার হবেন, তাঁদের তথ্য এরই মধ্যে নেওয়া আছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি যাঁরা ভোটার হবেন, তাঁদের তথ্য নেওয়ারও পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। তথ্য আগে থেকে নিলেও ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পরই তাঁরা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।’
অবশ্যই জুন বা জুলাই থেকে ভোটারদের তথ্য নেওয়া শুরু হবে জানিয়ে আবদুল্লাহ বলেন, ‘আগেভাগে তথ্য নিয়ে রাখলেও প্রতিবছর ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজন পড়বে এবং আইন অনুযায়ী ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে।’
আব্দুল্লাহ বলেন, ‘হালনাগাদের সময় সবাইকে পাওয়া যায় না। যারা বাদ পড়ে যাবে, তাদেরও তো সুযোগটা দিতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বছরের প্রতিটি দিনই ভোটার হওয়া যায়। যে কোনো দিন যে কোনো ভোটারযোগ্য নাগরিক সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার হতে পারেন। আমরা এ কাজ করতে ধারাবাহিকভাবে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’
২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা কার্যক্রমের পর ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই থেকে প্রথমবারের মতো ১৮ বছরের কম বয়সীদের তথ্য নেয় কমিশন। তখন যাদের জন্ম ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, এই ধরনের ১৫ বছর বয়সী নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করেছিল ইসি।
দেশে বর্তমানে ১০ কোটি ১৭ লাখ ভোটার রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর ইনহ্যান্সিং অ্যাক্সেস টু সার্ভিসেস বা আইডিয়া প্রকল্পের আওতায় ১০ কোটি ভোটারকে মেশিন রিডেবল স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে।
তুরস্কে গণভোটের ফলাফল ও রাজনৈতিক ভবিষ্যত