আওয়ার ইসলাম : কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের সমমানের স্বীকৃতির ঘোষণা দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানে এ স্বীকৃতি অনেক আগেই দেওয়া হয়েছে। দেশে এ স্বীকৃতি কোনো বিশেষ গোষ্ঠী বা শ্রেণিকে স্বীকৃতি দেওয়া নয়, বরং দেশের সবচেয়ে বড় সামাজিক শক্তিকে স্বীকৃতি প্রদান। দেশে ৪৮ হাজার কওমি মাদ্রাসায় ৮৫ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে।
মুফতি ইজহার বলেন, সাম্প্রতিক কওমি সনদের স্বীকৃতিকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক স্বার্থের বলি হওয়ার যেমন সুযোগ নেই তেমনিভাবে সরকারবিরোধী চেতনাকে পুঁজি করে কিংবা ধর্মনিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক চিন্তায় আক্রান্ত হয়ে যুগান্তকারী এ পদক্ষেপকে অযৌক্তিক প্রপাগাণ্ডার মাধ্যমে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার সুযোগ নেই।
কওমি সনদের স্বীকৃতি বাতিল বিষয়ে আওয়ার ইসলামকে যা বললো সুন্নী জামাত
তিনি বলেন, এটি স্বীকৃতির পক্ষে চলমান দীর্ঘ ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশবিশেষ। যা মূলত শুরু হয়েছিল, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে।
একশ্রেণির ইসলাম বিদ্বেষী সেক্যুলার তথাকথিত সুশীল ব্যক্তি, সংস্থা ও মিডিয়ার একাংশ কওমি সনদের ‘স্বীকৃতির বিরুদ্ধে অযাচিত আস্ফালন’ ছুঁড়ে চলেছে উল্লেখ করে মুফতি ইজহার বলেন, ‘আমরা তাদের এহেন চেঁচামেচির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
‘কওমি স্বীকৃতির বিষয়কে যারা জাতির জন্য অশনিসংকেত বলে প্রচারণা চালাচ্ছে আমরা মনে করি তাদের উগ্র ও জনবিচ্ছিন্ন ধর্মহীন সেক্যুলার চেতনাই বরং জাতির জন্য অশনিসংকেত।’ যোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি হারুণ ইজহার চৌধুরী, জা’মিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান, মুফতি এনামুল হক, নেজামে ইসলাম পার্টির সহসভাপতি আবদুর রহমান প্রমুখ।
-এআরকে