বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খানের স্ত্রী তানিয়া খান অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ এপ্রিল মারা যান তিনি। এ নিয়ে আদাবর থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
গত শনিবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে তানিয়া খানের ময়নাতদন্ত হয়।
এর আগে ২০১৪ সালের ১৩ জুন তানিয়া খান মোহাম্মদপুর থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, মারুফ কামাল খান তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন এবং হুমকি দেন। তাঁকে রড দিয়ে পেটানোরও অভিযোগ করেছিলেন তানিয়া হক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক সার্জন হোসাইন ইমাম মিডিয়াকে বলেন, বুধবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তানিয়া খান অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে আসেন। তাঁর শরীরের ৭৫ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ করায় তিনি পুড়ে গেছেন।
জানা যায়, তানিয়া খান হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পরিচয় দিয়ে। তানিয়া খান যে মারুফ কামাল খানের স্ত্রী, সে খবর তাঁরা জানতেন না। সাধারণত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারও স্বজন অগ্নিদগ্ধ হলে তাঁদের যে পরিমাণ তৎপরতা থাকে, তানিয়া খানের ব্যাপারে তা ছিল না। তানিয়া খানের সঙ্গে তাঁরা একটি মেয়েকে দেখেছেন। সে জানায়, কেরোসিনে পুড়ে গেছেন তানিয়া।
সৌদিতে ছয় মাসে ৮২৮ নারীর ইসলাম গ্রহণ