ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহরে চলমান সেনা অভিযানে উগ্র তাকফিরি জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস ‘গ্রান্ড মুফতি’ আল-বাদরানি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম মসুলে এক বিমান হামলায় সর্বোচ্চ ধর্মীয় ফতোয়া দানকারী এই নেতা আব্দুল্লাহ আল-বাদরানি নিহত হন।
গত কয়েক বছর ধরে উত্তর ইরাক জুড়ে চালানো পাশবিকতার মূল পরিকল্পনাকারী আল-বাদরানিকে এই গোষ্ঠীর অনেকে আবু আইয়ুব আল-আতার বলে ডাকত।
ইরাকি বেসামরিক নাগরিকদের নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের নির্দেশ জারি করা ছিল এই জঙ্গি নেতার প্রধান কাজ। ২০১৪ সালে ইরাকের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করার পর এসব এলাকায় ব্যাপক মানবতা বিরোধী অপরাধ চালায় দায়েশ জঙ্গিরা। যেসব নেতা এসব পাশবিকতা চালানোর নির্দেশ দিতেন আল-আতার তাদের শীর্ষে ছিলেন।
উত্তর ইরাকের হাজার হাজার ইজাদি পুরুষকে হত্যা করে তাদের নারীদের আটক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। পরে তারই নির্দেশে এসব হতভাগ্য নারীকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করে আইএস জঙ্গিরা।
অতি সম্প্রতি তিনি পূর্ব মসুলের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালাতে তাকফিরি জঙ্গিদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মসুলের পূর্ব অংশ এরইমধ্যে ইরাকের সেনাবাহিনী পুনরুদ্ধার করেছে এবং পশ্চিম মসুলের দখল নিতে এখন লড়াই চলছে।
পশ্চিম মসুলে সেনাবাহিনীর অভিযান থেকে বেসামরিক নাগরিকরা কীভাবে বেঁচে থাকবে সরকারি রেডিও ও টেলিভিশনে তার দিক-নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
সেনাবাহিনী বর্তমানে পশ্চিম মসুলের আন-নুরী মসজিদের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ২০১৪ সালে এই মসজিদ থেকে কথিত খেলাফতের ঘোষণা দিয়েছিলেন উগ্র তাকফিরি জঙ্গি নেতা আবুবকর আল-বাগদাদি।
এসএস/