শেখ আজিজুর রহমান মাসুম: আজ রাত আট টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হলো পটুয়াখালীর লতাচাপলী ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচারণা। এখানে হাতপাখা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী জনাব মোসলেম মুসুল্লী মুছা। আগামী ১৬ এপ্রিল এখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
১৪ এপ্রিল এক নির্বাচনী সভায় মোসলেম মুসুল্লী মুছা বলেন, আমি নির্বাচিত হলে পাঁচ বছর পর আর ভোট চাইতে ঘরে ঘরে আসবো না। কেননা, সুশাসনের কারণে জনগণ খুশি হয়ে আমাকে আমার ঘরে গিয়ে নির্বাচন করতে অনুরোধ জানাবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমি প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি করে ক্যাম্প করবো, যেখানে প্রতি মাসে একবার এলাকার সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা বসবে। পরস্পর বিরোধ বা অনাকাংখিত ঘটনা নিরসনে বিচারকার্য সম্পন্ন করা হবে সেই ক্যাম্পেই। কিন্তু, যারা স্বাধীনের পর হতে বিভিন্ন দল হতে চেয়ারম্যান হয়ে আসছে, তাদের ভোট চাইতে হবে কেনো? বুঝা গেলো, তারা যে কাজ করেছেন, তাতে জনগণ তাদের ভোট দিবে না। অতএব, এরা কখনো ইউনিয়নের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারবে না।
জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন সংগঠনের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়াও সর্বক্ষণ মাঠে আছেন প্রার্থীর তিন ছেলে নন্দিত ওয়ায়েজ মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিক, মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ ও মাহফুজুর রহমান জাবের।
লতাচাপলী ইউনিয়নে হাত পাখার জোয়ার উঠেছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে হাত পাখার জয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রার্থীর মেজো ছেলে মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ বলেন, একটি সংগঠন থেকে বেশ কয়েকবার হাত পাখার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়া হয়েছে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য বলছে ও হাত পাখার পক্ষে প্রচারণা চালালে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। নির্বাচনের দিন বাধা প্রদানের পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।
এছাড়াও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম। ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শাইখ ফজলুল করীম মারুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল্লাহ ফাহাদ -সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
আরআর
কওমি স্বীকৃতিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি: অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ