আওয়ার ইসলাম: কোনো ঈমানদার মঙ্গল শোভাযাত্র পালন করতে পারে না এবং উৎসাহও দিতে পারে না । মঙ্গল শোভাযত্রা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমনটিই বলেছেন সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ।
বিবৃতিতে প্রায় শতাধিক ইসলামিক ব্যক্তিত্ব সাক্ষর করেছেন।
বর্ষবরণের অনুষ্ঠান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে গত বৃহস্পতিবার দেশবাসীকে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালির সংস্কৃতিরই অংশ। ধর্মের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে ধর্মকে টেনে আনার কোনও যৌক্তিকতা নেই। এটাকে নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা পবিত্র ইসলাম, ইসলামী মূল্যবোধ ও সভ্যতা-সংস্কৃতির সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক বলে সম্মিলিত উলামা মাশায়েখের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। কুরআনের আলোচ্য নির্দেশনার আলোকে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও পশুআকৃতিরূপী সাজা চিরতরে হারাম ঘোষিত হয়েছে। একজন ঈমানদার তা কখনও মেনে নিতে পারে না বা অন্য কাউকে উদ্ধুদ্ধ ও উৎসাহিত করতে পারে। ইহা মূলত বিজাতীয় সংস্কৃতির অংশ,যা ইসলাম বিদ্বেষী মহল, বে-দ্বীন, মুসলিম নামধারী মুরতাদ ও ইবলিসের প্ররোচনা। বিবৃতিতে বলা হয়, হনুমান হুতুমপেঁচাসহ বিভিন্ন প্রাণির প্রতিক্রিতি বাঙালি সংস্কৃতির অংশ নয় বরং এসব হিন্দু ধর্মীয় উপাসনার সাথে সম্পৃক্ত।
মাদরাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের জন্য সরকারী সার্কুলার জারি করে সরকার কাদেরকে খুশী করতে চান তা বোধগোম্য নয়। ৯০ ভাগ মুসলমানের এদেশে এহেন গর্হিত হারাম কাজ গোটা জাতির উপর চাপিয়ে দেয়ার দুঃসাহস সরকার দেখাবে না বলে শীর্ষ উলামায়ে কেরাম মনে করেন।
তবে সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় ইসলাম বিদ্বেষী মহল দেশকে অস্থিতিশীল করতে ও সরকারের অর্জন ক্ষুন্ন করতে যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র ও উস্কানী দিচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে সরকারের সজাগ দৃষ্টি কামনা করছি।
[প্রসঙ্গ কওমি স্বীকৃতি ও মূর্তি; আপস নাকি উপলব্ধি!]
[হেফাজত ইস্যুতে ওরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করছে]
এসএস/