আওয়ার ইসলাম : রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোতে শুক্রবার বাংলা নববর্ষ শান্তিপূর্ণভাবে পালনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সন্ধ্যার আগেই বর্ষবরণ সংক্রান্ত সকল অনুষ্ঠান শেষ করার জন্যও সংশ্লিষ্ট নগরীর পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নববর্ষ অনুষ্ঠানে আসার সময় সন্দেহজনক কোন সরঞ্জাম, বস্তু বা ব্যাগ বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা ঐতিয্যবাহী পহেলা বৈশাখ শান্তিপূর্ণভাবে পালনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোতে পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে রমনা বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রবীন্দ্র সরোবর এবং রাজধানীর অন্যান্য স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত দায়িত্ব পালন শুরু করছেন।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেক পয়েন্ট, সিসিটিভি, মেটাল ডিটেক্টর ও অবজার্ভেশন টাওয়ার করা হয়েছে। মোয়ায়েন করা হয়েছে বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিট ও ডগ স্কোয়ার্ডও। নিরাপত্তা তল্লাশি ছাড়া কেউই মূল অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে পারবে না।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তায় মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় পূর্ণ নিরাপত্তার স্বার্থে কেউই মুখোশ পরতে পারবে না। তবে হাতে রাখা যাবে। কোন ধরনের ব্যানার, ছাতা, অস্ত্র, ছুরি বহন করা যাবে না। এছাড়া ইভটিজিং প্রতিরোধে রাখা হয়েছে বিশেষ পুলিশ টিম।
রমনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রবীন্দ্র সরোবরের মুক্তমঞ্চের অনুষ্ঠানগুলো বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। অনুমতি সাপেক্ষে ইনডোর কর্মসূচি উদযাপন করা যাবে।
বর্ষবরণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা হতে শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহনের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রমনা বটমূল ও এর আশেপাশের এলাকায় বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছে মহানগর পুলিশ।
-এআরক
ধর্মের সাথে মঙ্গল শোভাযাত্রার কোনো সম্পর্ক নেই: প্রধানমন্ত্রী