বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত সিনিয়র স্পেশাল জজ মো.কামরুল হোসেন মোল্লার বিশেষ আদালত এ দিন ধার্য করেন।
একইদিনে ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের বিশেষ আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৮ মে দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে রওয়ানা হয়ে বেলা ১১টা ৮ মিনিটে আদালতে পৌঁছেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দুটির কার্যক্রম যথাক্রমে ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের বিশেষ আদালত-৩ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ মো.কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে চলছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক।
এই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরো একটি মামলা করে দুদক।
এই মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
এই মামলায়ও ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
গণভবনের উলামা বৈঠক নিয়ে যা বললেন খালেদা জিয়া