গাজীপুরে কারাবন্দি ফাঁসির আসামি হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের স্বজনদের ডেকেছে কারা কর্তৃপক্ষ। পরিবারের সঙ্গ আজই শেষ দেখা হচ্ছে তাদের।
মঙ্গলবার সকালে তাদের ডেকে পাঠানো হয় বলে জানান গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র সুপার মো. মিজানুর রহমান।
এর আগে প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করলে তার নাকচ হয়ে যায়। এর পর থেকে তাদের ফাঁসি কার্যকর করতে কারাগারে জল্লাদ ও ফাঁসিমঞ্চসহ সবকিছু প্রস্তুত রাখা হয়।
তাদের পরিবারের কাছে পাঠানো চিঠিতে কারাগারে এসে দেখা করে যেতে বলা হয়েছে। তবে ফাঁসি কার্যকরের সময় সম্পর্কে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন কারা সুপার মিজানুর রহমান।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর অনুষ্ঠানে ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করা হয়। আনোয়ার চৌধুরী বেঁচে যান। কিন্তু আহত হন অন্য অর্ধশতাধিক মানুষ।
২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
এর পর গত ২৭ মার্চ কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে তা নাকচ হয়ে যায়।
সোমবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১টার দিকে হান্নান ও বিপুলের প্রাণ ভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচ করার চিঠি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় এবং তা আসামিদের পড়ে শুনানো হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন রয়েছেন সিলেট কারাগারে। তাকেও প্রাণভিক্ষার আবেদন পড়ে শুনানো হয়েছে।
আরআর