আওয়ার ইসলাম: হাইকোর্টের নির্দেশে হাজারীবাগের ট্যানারিগুলো থেকে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। এতে সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন ট্যানারি মালিকেরা।
দফায় দফায় মিটিং করে কঠোর আন্দোলনের ছক কষছেন তারা। তারা জানিয়েছেন, এবারের আন্দোলন হবে তাদের অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন। এজন্য তারা খুবই কঠোর কর্মসূচি দেবে। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবেন ট্যানারি মালিকরা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, উপস্থিত ট্যানারি সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনের নেতাকর্মীরা কঠোর আন্দোলনের পক্ষে মত দিয়েছেন। যে আন্দোলনের নেতৃত্বে মালিকেরা থাকলেও শ্রমিকদেরকেই মাঠে সক্রিয় থাকতে হবে। শ্রমিকরাও এর পক্ষে মত দিয়েছেন।
শ্রমিক নেতা শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘এখন আমার খাবো কী? থাকবো কোথায়? আমার সন্তান জানতে চায়, বাবা আমাদের কি এখন ভিক্ষা করতে হবে? আমার স্ত্রী জানতে চাই আমরা পথে বসে গেলাম নাকি? আমরা তো এভাবে ছিলাম না। আমাদেরকে আজ সরকার পথে বসিয়ে দিয়েছে। তাই আমরা এই আন্দোলনের রাজপথে থাকবো।’
এ বিষয়ে ফিনিস লেদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন মাহিন বলেন, ‘বিসিকের কারণেই আমরা এত সংকটে পড়েছি। কারণ সংসদীয় কমিটির সভায় ট্যানারি কারখানা সরাতে সাভার এখনও সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত নয় বলেছে বিসিক। আর আদালতকে তারা বলেছে সাভার প্রস্তুত। ফলে তারা আমাদের সঙ্গে একটা প্রতারণা ও মিথ্যাচার করেছে।
[caption id="" align="aligncenter" width="446"] ট্যানারি থেকে জব্দ করা গ্যাস, পানির মিটার[/caption]
তিনি আরও বলেন, ‘চামড়া শিল্প বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি শিল্প। এই শিল্পকে ধ্বংস করার জন্যই সরকার এই রকম কাজ করলো। দেশের চামড়া এখন সবই ভারতে চলে যাবে। ভারত লাভবান হবে। এভাবে অন্যায়ভাবে যদি কোনও শিল্পকে নষ্ট করে দেওয়া হয় তাহলে কেউ আর কোনও শিল্প কারখারা গড়ে তুলবে না। এই প্রথম দেখলাম দেশের সরকার কোনও একটি শিল্পকে ধ্বংস করলো।’
এসএস