ইমদাদ ফয়েজী; সিলেট: সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে নতুন জীবনের সন্ধান পাওয়া যায় আর সেই জীবনকে আরো প্রাণবন্ত সতেজ করতে হলে সাংবাদিকতার বিকল্প নেই। এজন্যই সাংবাদিকদের জাতির বিবেক আর সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ।
বর্তমান যুগহলো ডিজিটাল, সেহিসেবে অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা ও প্রভাববেশী। এতে ভাল-মন্দ উভয়টাই বিদ্যমান।
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে গণমাধ্যম কর্মীদের দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করতে হবে। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, তাই বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার জন্য যথেষ্ট অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। চেষ্টা ও সাধনা অব্যাহত রেখে প্রশিক্ষকণের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মরা পরিবর্তন ও উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখা সম্ভব।
আলোচকগন ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকল্প বাস্তবায়নে গণমাধ্যম কর্মীদের আরো দক্ষকরে গড়ে তোলতে সরকারকে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সাহিত্য-সাংবাদিকতায় তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকার পাশাপাশী স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ করে দেয়া উচিত।
শুক্রবার ( ৭ এপ্রিল) সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ এর সাহিত্য আসর কক্ষে আয়োজিত দিন ব্যাপি সাহিত্য-সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আবার ভাঙল খেলাফত আন্দোলন! নেপথ্যে কী?
অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিলেট রিপোর্ট ডটকম এর ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন যথাক্রমে দৈনিক প্রথম আলোর ধর্মীয় বিভাগের উপ-সম্পাদক শাঈখ মুহাম্মদ উছমান গণী, জালালাবাদ লেখক ফোরামের সভাপতি শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেটের সহ-সভাপতি সেলিম আউয়াল, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, কবি ও গবেষক মুসা আল হাফিজ, লেখক-কলামিস্ট শামসীর হারুনুর রশীদ।
সিলেট রিপোর্ট সম্পাদক মুহাম্মদ রুহুল আমীন নগরীর সভাপতিত্বে ও স্টাফ রিপোর্টার শাহিদ হাতিমীর সঞ্চালনায় দিনব্যাপি কর্মশালা শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে প্রত্যয়নপত্র (সনদ) বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মদন মোহন কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল লে.কর্নেল (অব.) এম আতাউর রহমান পীর, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদি, সাপ্তাহিক গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজার সংবাদ সম্পাদক এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ, সাংবাদিক-লেখক সাইদ চৌধুরী, দৈনিক সিলেটের ডাকের সাহিত্য সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবীর বাবর, প্রিন্সিপাল সৈয়দ সালিম কাসেমী, হাফিজ শাব্বির আহমদ রাজি প্রমুখ।
কর্মশালায় সিলেট বিভাগের ৬০ জন সংবাদকর্মী ও সাহিত্যানুরাগী অংশগ্রহণ করেন।
আরআর