শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী

দেওবন্দে সাহিত্য মজলিসের ছুটি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

deubon_mojlish

দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিনিধি: বিশ্বখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে গত সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো বাঙালি ছাত্রদের সাহিত্য মজলিসের সমাপনী সভা৷ বাঙালি তরুণদের উদ্যোগে আয়োজিত আড্ডায় বরাবরের মতো গতকালও আসরের প্রধান আলোচক ছিলেন মজলিস পরিচালক তরুণ লেখক ও কবি মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ৷

সাপ্তাহিক আলোচ্য বিষয় ‘ছড়া-কবিতা কী, লিখতে হয় কীভাবে?’র ওপর গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন তিনি৷ ছড়া-কবিতার ছন্দ, পার্থক্য, সাহিত্যে তার অবস্থানসহ নানাদিক তুলে ধরেন আলাপে আলাপে৷ মজলিসের সমাপনী আসর হওয়ায় গতকাল সাহিত্যের সমকালীন অন্যান্য প্রসঙ্গও উঠে আসে তার কথায় কথায়৷

এরপর উপস্থিত সাহিত্য-সারথিদের মাঝে লেখালেখির উদ্দীপনা বাড়াতে তিনি মধ্যযুগীয় ও আধুনিক কবি, লেখকদের লেখকজীবনের কাহিনি তুলে ধরেন সংক্ষেপে৷ আলোচিত হয় শরৎ, নিমাই, নজরুল, হুমায়ুন, রাহাত খানের জীবনালেখ্যও৷ সঙ্গে নিজের লেখকজীবনের শুরুটাও তুলে ধরেন কবি মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ৷ বলেন, ‘লেখালেখি এক চরম সাধনার বিষয়৷ নিয়মিত হওয়া ছাড়া এ জগতে ভালো স্থান অর্জন করা সম্ভব নয় ৷ একজন সফল লেখক হতে হলে লেখার থেকে পড়তে হবে কয়েকগুণ বেশি৷ রোজ দু'বেলা লেখার টেবিলে বসা চাই৷ এর আগে তিনটে শর্ত৷ পড়া, পড়া এবং পড়া৷ এর অনুষঙ্গ হিসেবে রয়েছে জীবনবোধ, পৃথিবী দেখা৷ ভালো লেখক হতে হলে ভালো পাঠক হবার পাশাপাশি ভালো দেখকও হতে হয়৷ রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বিভূতি, শরৎ, জহির রায়হান, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, সুনীল, আহমদ ছফা, রাহাত খান, হেমন্ত, শমরেশ, হুমায়ূনসহ সমকালীন শেষ্ঠ কবি-সাহিত্যিকদের লেখাও যেনো নিয়মিত পড়ার তালিকা থেকে বাদ না যায়৷'

উপস্থিতিদের লক্ষ্য করে লেখালেখি বিষয়ে দেন আরও নানা পরামর্শ৷ বলেন, ‘একজন সফল লেখক তার নিজের লেখার প্রথম ও প্রধান সম্পাদক হয়ে থাকেন৷ একটি লেখা কমপক্ষে ১০/১৫ বার সম্পাদনা করা চাই৷ বিখ্যাত লেখকদের সবাই এই কাজটি করেছেন বড় যত্নের সঙ্গে৷ আমাদের চোখের সামনেই আছেন আদিব সাহেব (হজরত মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ)৷ তিনি লেখালেখির দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবার পরও নিজের একটি লেখা বারবার সম্পাদনা করে থাকেন এখনও৷ এমনকি কোনো বইয়ের দ্বিতীয় এডিশন বাজারে ছাড়ার আগে কয়েকবার সম্পাদনা করে নেন৷ মার্জিনে মন্তব্য, এসো কলম মেরামত করি, বাংলা লেখার নিয়মকানুন, শুদ্ধিকরণ বইগুলি উল্টে দেখা চাই মাঝেমধ্যে৷ তাহলে লেখা কাটাছেঁড়ার নানাদিক বুঝে আসবে আপনাতেই৷'

এরপর আড্ডার অন্যান্যদের লেখাপাঠ ও বিখ্যাত ছড়াকার সুকুমার রায়ের ‘আবোল তাবোল'-এর ওপর খানিকটা আলোচনা হয়৷ তরুণ লেখক আহমদ আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আড্ডায় সারথীদের মাঝে ছড়াকবিতার ওপর আরও কথা বলেন তারুণ্যদীপ্ত লেখক হাওলাদার জহিরুল ইসলাম, আবু দাউদ তাওহিদ ও আহমদ আবদুল্লাহ৷

উল্লেখ্য, দেওবন্দের তৈয়্যব হাসপাতাল সংলগ্ন বেরুণ কোটলা মসজিদপ্রাঙ্গনে আলোচিত সভাটি আরম্ভ হয় গত মার্চে৷ প্রতি মজলিস অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিলো সপ্তাহের বৃহষ্পতিবার বাদ মাগরিব থেকে ভারতীয় সময় রাত দশটা অবধি৷ রোজনামচা, গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য-ফিচার, ছড়াকবিতাসহ সাহিত্য-সাংবাদিকতার প্রায় সব বিভাগ নিয়েই হয় বিস্তর আলোচনা৷ সঙ্গে সারথীদের লেখা দেখা, প্রয়োজনীয় কাটাছেঁড়া করা, কোনো একটি লেখার ওপর পর্যালোচনা করা, শব্দখেলা, সুন্দর সুন্দর বাক্য নির্মাণের কৌশল শেখানো, ইত্যাদি তো ছিলো নিয়মিতই৷

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ