ঢাকার কেরানীগঞ্জের তারানগর, কলাতিয়া ও সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নে ৫ হাজার একর জমি সরকার অধিগ্রহণ করার খবরে ৫ হাজার কিমি দীর্ঘ মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
আজ (সোমবার) সকাল নয়টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কেরানীগঞ্জের বসিলা থেকে কলাতিয়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় মানববন্ধনে অংশ নেন হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে অংশ নেয়া স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন প্রতিবাদী বক্তব্য লেখা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড বহন করে। কথিত জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে তারা নানান স্লোগান দেয়।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শাহিন আহমেদ বলেন, জেলখানা, বিসিক শিল্পনগরী, বিসিএস আবাসন প্রকল্প, রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পসহ বিভিন্ন সরকারি কাজে ইতিমধ্যে কেরানীগঞ্জে জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। এতে কেরানীগঞ্জের ভূমি সংকুচিত হচ্ছে। কমে যাচ্ছে কৃষিজমি। সরকার যদি ফের জমি অধিগ্রহণ করে, তাহলে স্থানীয় লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকার বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে স্থানীয়দের দাবি।
জমি অধিগ্রহণের খবরে গত বৃহস্পতিবার আঁটি ভাওয়াল স্কুলের মাঠে তিন ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। পরে সেখানে তারা প্রতিবাদ সভা করেন। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, “সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় খবর বেরিয়েছে কেরানীগঞ্জের তিনটি ইউনিয়নের ১৬ মৌজায় ৫ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করে সংসদ সদস্যদের জন্য ফ্ল্যাট বানানো হবে। এ ধরনের খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। ৫ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হলে লক্ষাধিক মানুষ তাদের বসতভিটা হারাবে। কোনো অবস্থাতেই এটা আমরা মানবো না। জান দেব তবু জমি দেব না।”
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তারানগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ফারুক, কলাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন লিটন, ইঞ্জিনিয়ার রশিদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
আরআর