ওবায়দুল্লাহ সাদ: ময়মনসিহের তারাকান্দা উপজেলার বালিখাঁ গ্রামের স্থানীয় নবীন আলেম ও যুবককদের সামাজিক সংগঠন ইসলাহুল উম্মাহ ইসলামী পাঠাগার ও সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে ৭০ জন দরিদ্র এতিম ও বিধবা নারীদের মাঝে মশারি বিতরণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনাও দিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনের উপদেষ্টামন্ডলীর সভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলানা আব্দুল খালেক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ইউনিয়ন কমান্ডার আবদুল হাই, প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক মাওলানা লাবীব আব্দুল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা খায়রুল ইসলাম।
প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় মাওলানা লাবীব আব্দুল্লাহ মশারি বিতরণ কর্মসূচিকে একটি স্মরণীয় ও শিক্ষণীয় উদ্যোগ দাবি করে বলেন, সমাজসেবা এটা আমাদের কাজ ছিল, মুসলমানদের কাজ ছিল, কিন্তু এটা আজ অমুসলিমরা দখল করে নিয়েছে।
তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ-তীতিক্ষার কথা স্মরণ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ. হাই ১৯৭১ রনাঙ্গনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং জঙ্গিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করেন।
তিনি আলেমদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং বলেন, আলেমরা কখনো জঙ্গি হতে পারে না।
সভাপতির বক্তব্যে শায়খুল হাদিস মাওলানা আবদুল খালেক সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে দেশের ক্রান্তিলগ্নে যুবকদের সামাজিক কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠনের অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আলোর মশাল সম্পাদক মুফতি ইলিয়াছ সারোয়ার, পাঁচতারা লুঙ্গি’র প্রজেক্টর পরিচালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুস সালাম, বীর মুক্তযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন, প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দর আলীসহ প্রায় শতাধিক আলেম ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের লুঙ্গী ও আলোর মশাল দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। পরে দোয়া মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
আরআর
মসজিদ-মন্দির-মাদরাসাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করতে পারবে সরকার