
আইপিইউ’র সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী আজ সকালে এখানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরার এক সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতায় বলেন, সফল ভাবে এই সম্মেলন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অগ্রগতির ক্ষেত্রে এটি হবে একটি মাইল ফলক। এই সম্মেলন দেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে আনবে।
তিনি বলেন, আমরা এই সম্মেলন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে বাংলাদেশের চলমান অগ্রগতি, সম্ভাবনা এবং একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়ার কথা তুলে ধরার সুযোগ পাবো।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আইপিইউ’র মহাসচিব মাটির্ন চুংগংও বক্তব্য রাখেন। এ বছরে সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ”রিএ্যাড্রেসিং ইনইকুয়ালিটি: ডেলিভারিং অন ডিগনিটি এন্ড ওয়েল বিং ফর অল”। সম্মেলনে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এবং শিশু অধিকার কর্মী কৈলাস সারথি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, পাচঁ দিনব্যাপী এই সম্মেলন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিদেশী অতিথিদের জন্য পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
১৯৭২ সালে ফোরামে যোগ দেয়ার পর এই প্রথম বারের জন্য বিশ্বের আইন প্রণেতাদের দীর্ঘদিনের পুরানো এই সংগঠনের সম্মে¥লনের স্বাগতিক দেশ হয়েছে বাংলাদেশ।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বিশ্বের ১২০ টি দেশের ৫৩ জন স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার এবং ২০৯ জন নারী পার্লামেন্টারিয়ানসহ মোট ১৩৪৮ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দেবেন।
আইপিইউ’র কনভেনশন অনুযায়ী স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী স্বাগতিক দেশের স্পিকার হিসাবে সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, চীফ হুইপ এএসএম ফিরোজ, হুইপ ইকবালুর রহিম, সংসদ সদস্যগণ, আইপিইউ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস
-এআরকে