মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ইসলামী শিক্ষার অভাবেই জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে: চরমোনাই পীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

pir shaheb cormonaiআওয়ার ইসলাম : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সমাজ আজকে নীতি-নৈতিকতাহীন, বস্তুতান্ত্রিক সফলতার চিন্তায় বিভোর। মানুষ বল্গাহীন দুর্নীতি, হত্যা, পাপাচার এবং দুুরাচারে লিপ্ত হচ্ছে। শাসক গোষ্ঠী ক্ষমতাকে লুণ্ঠনের অধিকার মনে করছে। রাজনীতিকে সেবা নয়; বরং শোষনের হাতিয়ার বানিয়েছে। জাতি ভয়াবহ ধ্বংসের দিকে ছুটে চলছে। এই ধরণের সংকট মোকাবেলার জন্য বাংলার যুব সমাজকে জেগে উঠতে হবে।

আজ রাজধানীর কাজী বশির মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলনের আয়োজিত  ১ম জাতীয় কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জাতির হাজার বছরের মুক্তির স্বপ্ন যুবকদের কাঁধে অর্পিত হয়। যুবসমাজকে সুষ্ঠু পথে পরিচালিত করা গেলেই দেশ সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে । তাই তরুণ ও যুব সমাজকে রক্ষাসহ ইসলামী শিক্ষার জ্ঞানে শিক্ষিত এবং তাদের সুষ্ঠ পথে পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিস্তার রোধে অবিলম্বে ধর্মহীন শিক্ষানীতি ও প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৬ অবিলম্বে বাতিল করে ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামিক স্কলারদের সাথে নিয়ে এগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ বন্ধে, জঙ্গি কার্যক্রমের উস্কানিদাতা এবং অর্থদাতাদের চিহ্নিত করে ওদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী কওমি শিক্ষার স্বকীয়তা রক্ষা করতে হবে। এদেশের মুসলিম যুবকেরা জ্ঞানের অভাবে এবং পশ্চিমা অপপ্রচারের কারণে ইসলামকে বাদ দিয়ে একদিকে কুফরী গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে। অপরদিকে ভ্রান্তমতবাদে আকৃষ্ট হয়ে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হচ্ছে জান্নাত পাওয়ার মিথ্যা আশায়। এ পথ থেকে তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কে এম আতিকুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন-এর সঞ্চালনায় কনভেনশনে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল-ফরিদি, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব আলহাজ আমিনুল ইসলাম, বিকল্প যুব ধারার সাধারণ সম্পাদক মির্জা আসাদুজ্জামান বাচ্চু, জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জি. আশরাফুল আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ইশা ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ, ইসলামী আইনজীবী পরিষদ, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ও সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, বাঙ্গালী সংস্কৃতির নামে মঙ্গল শোভাযাত্রাকে পালন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশ প্রদান করেছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দুদের পূজার একটি অংশ। পূজা করার নির্দেশ দিয়ে সরকার আজ বাংলাদেশের মুসলমানের হৃদয়ে চরমভাবে আঘাত দিয়েছে। দিল্লির সংস্কৃতি এই বাঙ্গলার জমিনে চলতে দেয়া হবে না। সরকার গোলমীর চুক্তি করার উদ্যেগ নিয়েছে। সামরিক চুক্তির নামে দিল্লির গোলামী মেনে নেয়া হবে না। অনতিবিলম্বে স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব বিরোধী উদ্যোগ থেকে বিরত না হলে আগামী ২১ এপ্রিল’১৭ মহাসমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সম্মেলন শেষে তিনি ইসলামী যুব আন্দোলনের এর চলমান কমিটি বিলুপ্ত করে চলমান সেশনের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। নবগঠিত কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম আতিকুর রহমান, সহ-সভাপতি প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা নেছার উদ্দিন এর নাম ঘোষণা করে শপথ বাক্য পাঠ করান।

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ