কাশ্মীরে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাদগাম জেলার চাদুরা এলাকায় পুলিসের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৭ জন। প্রতিবাদে বুধবার উপত্যকায় বন্ধ ডেকেছে হুরিয়ত। সাইয়েদ আলি শাহ গিলানি, মিরওয়াইজ উমর ফারুক এবং মুহাম্মদ ইয়াসিন মালিক বুধবার উপত্যকায় সমস্ত কিছু বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন। খবর আজকালের
মঙ্গলবার সকালে জঙ্গি লুকিয়ে থাকার অভিযোগে চাদুরা এলাকায় বিশেষ তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশি চালানোর সময় জঙ্গিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে উত্তেজনা বাড়ে। স্থানীয়রা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুলিশের গুলি গলায় লেগে শ্রীনগর হাসপাতালে মারা যান এক ব্যক্তি। সেখানেই ঘণ্টাখানেক পরে আশঙ্কাজনক আরও একজনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন প্রায় ১৭ জন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছররা বন্দুক ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে পুলিশ। গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক জঙ্গির। আর একজন পলাতক। তবে মৃত জঙ্গির কাছ থেকে পুলিশের লুঠ হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
এই ছররা বন্দুক ব্যবহার নিয়ে গত সোমবার সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছিল। ছররা বন্দুকের ব্যবহার বন্ধ করে বিকল্প ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২ সপ্তাহের মধ্যে সেই বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়ে শীর্ষ আদালতকে জানাতে হবে কেন্দ্রকে।
সেই সঙ্গে ছররা বন্দুকে যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের যথাযথ চিকিৎসার দায়িত্ব কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি খেহর। তার পরের দিনেই এই ঘটনা ওই মামলায় কতটা প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
এআর