রিজার্ভ চুরির ঘটনার একবছর পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আগুন লাগার ঘটনা ‘রহস্যজনক’ বলে মনে করছে বিএনপি।
রাজধানীতে শুক্রবার দুপুরে আলাদা দুটি আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য আবদুল মঈন খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আগুনের এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
মঈন খান বলেন, “৩২ তলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১৩/১৪ তলায় বৈদেশিক বিভাগ। এর আগে ছুটির দিনে এই ব্যাংকের রিজার্ভ শাখা থেকে অর্থ লোপাট হয়েছিল। এবার যে আগুনের ঘটনাটি ঘটেছে তাও ছুটির দিনেই হয়েছে। এ দুটি ঘটনাই ছুটির দিনে ঘটল- এটা রহস্যজনক।”
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “আজ বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন লেগেছে, প্রশ্নটা ওঠা স্বাভাবিক- এর কারণ কী? আমি জানি না এর কারণ। এটাই জনমনে প্রশ্ন- কেন এই আগুন?”
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২৮ মিনিটে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের ১৪ তলার একটি কক্ষে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ৩৪ মিনিটে তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবনের ১৪ তলার ওই অংশে বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের কার্যক্রম চলে। আগুনে ওই বিভাগের মহাব্যবস্থাপকের ঘর ও আসবাবপত্র পুড়ে যাওয়ার কথা জানা গেলেও ক্ষয়ক্ষতির স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়নি।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি যায় সুইফট মেসেজ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে। ওই অর্থ ফিলিপিন্সের রিজল ব্যাংকে যাওয়ার পর দেড় কোটি ডলার ফেরত পাওয়া গেলেও বাকি টাকা উদ্ধারের কোনো আশা এখনও পাওয়া যায়নি।
আরআর