আওয়ার ইসলাম : গতকাল রাতে ভারতে উত্তরপ্রদেশের হাতরাস শহরে মুসলিমদের মালিকানাধীন তিনটি মাংসের দোকান আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাতে একদল উত্তেজিত জনতা ওই দোকানগুলো পুড়িয়ে ছাই করে দেয় বলে স্থানীয়রা অনেকে অভিযোগ করেছেন, যদিও পুলিশ সেই বক্তব্য নিশ্চিত করে নি।
বিতর্কিত বিজেপি নেতা ও গেরুয়াধারী হিন্দু সন্ন্যাসী যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার দিনতিনেকের মধ্যেই এই মুসলিমদের মাংসের দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটল।
হাতরাস জেলার পুলিশ সুপার দিলীপ কুমার অবশ্য বিবিসিকে জানিয়েছেন, "দোকানগুলোতে অনেক রাতে আগুন ধরেছে। ফলে ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শীকে আমরা খুঁজে পাইনি।"
তবে ঠিক কীভাবে ওই মাংসের দোকানগুলোতে আগুন লাগল, তা জানতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জেলার পুলিশ-প্রধান নিশ্চিত করেছেন।
তবে হাতরাসের পুড়ে-যাওয়া দোকানগুলোতে অবশ্য শুধু ছাগল বা পাঁঠার মাংস বিক্রি হত বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ভারতের অন্য অনেক রাজ্যের মতো উত্তরপ্রদেশেও গরুর মাংস কেনাবেচা বা খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এর আগে বিজেপি উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছিল, ক্ষমতায় আসলে তারা রাজ্যের সব বড় কসাইখানা (স্লটার হাউস) বন্ধ করে দেবে, যেখানে মহিষের মাংস প্রোসেস করা হয়।
বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম দু-তিনদিনের ভেতরই রাজ্যের পুলিশ এলাহাবাদ ও গাজিয়াবাদের এমন বেশ কয়েকটি স্লটার হাউসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে, কয়েকটি স্লটার হাউস নিজে থেকেই কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে।
রাজ্যের ৪৪ বছর বয়সী নতুন মুখ্যমন্ত্রী তার রাজনৈতিক কেরিয়ারে বহুদিন ধরেই উত্তরপ্রদেশে এই শত শত কোটি টাকার মাংস উৎপাদন শিল্প বন্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছেন।
আদিত্যনাথ শপথ নেওয়ার পর থেকেই উত্তরপ্রদেশে গবাদি পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসন নানা কড়াকড়ি শুরু করেছে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
-এআরকে