মুহাম্মদ নূরুদ্দীন: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে মসজিদের ভেতরে এক ইমামকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
জানা যায়, উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের পাইন্দং গ্রামের আশরাফাবাদ দরবার শরিফের মসজিদে গতকাল সোমবার মাগরিবের নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আঘাত পান ইমাম শাহ আলম নাঈমী (৬০)। চিকিৎসার জন্য রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
মাগরিব নামাজের সময় মসজিদে অনেক মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। তারা সঙ্গে সঙ্গে হামলাকারী যুবক ছালাহ উদ্দিনকে (২৭) আটক করেন। তাঁকে পিটিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি পাইন্দং গ্রামে। বাবার নাম নুর মুহাম্মদ।
মসজিদে নামাজের সময় এ ধরনের হামলার ঘটনা স্থানীয় লোকজনকে বিস্মিত করেছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার লোকদের ধারণা, এটি জঙ্গি হামলা।
পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত না করে কিছু বলতে রাজি হয়নি। তবে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, দরবারের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। হামলার পেছনে এটি কারণ হতে পারে।
ওই মসজিদের মুসল্লিরা বলেন, নামাজ শুরু হওয়ার পর হঠাৎ পেছনের কাতার থেকে এক যুবক ইমামের পিঠে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় অন্য মুসল্লিরা তাঁকে ধরে ফেলেন। আহত অবস্থায় ইমামকে প্রথমে নাজিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী পাইন্দং গ্রামের মুহাম্মদ রাশেদ বলেন, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল চারজন। একজন ধরা পড়েছে। অন্যরা ভিড়ের মধ্যে পালিয়ে গেছে।
এদিকে ইমামের ওপর হামলার খবর পেয়ে ফটিকছড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবককে উদ্ধার করতে চাইলে দরবারের ভক্তদের বাধার মুখে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে আটক যুবককে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ইউছুফ মিয়া মিডিয়াকে বলেন, আটক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরআর