নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তুলছে সৌদি আরব ও চীন। দেশ দুটির মধ্যে ৬৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটিকে সম্পর্কের নতুন মাইলফলক হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।
এশিয়া সফররত সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এখন চীনে আছেন। বেইজিংয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর উভয়ে ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চীনের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঝাং মিংয়ের বরাত দিয়ে রাশিয়ান বার্তা সংস্থা রাশিয়ান টাইমস (আরটি) জানিয়েছেন, শক্তি সম্পদ থেকে মহাকাশ পর্যন্ত সবকিছুতেই সহযোগিতার জন্য ওই সমঝোতা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী ঝাং মিং রয়টার্সকে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও বাদশাহ সালমান পুরোনো বন্ধু।’ তিনি আরো বলেন, ‘চীন ও সৌদি আরবের মধ্যকার সহযোগিতামূলক কার্যক্রম এরই মধ্যে অনেক বড় কিছু অর্জন করেছে এবং সামনে আছে অনেক বড় সম্ভাবনা।’
নিজ দেশে বিনিয়োগ সুযোগ ও বাণিজ্য বাড়াতেই বাদশাহ সালমান সাম্প্রতিক সফরে বের হয়েছেন। এশিয়ার দেশগুলোর জন্য সৌদির তেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশটি চীনের তেলের বাজারও বাড়াতে চায়। চীনে তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে গত বছরই রাশিয়ার চেয়ে পেছনে পড়ে যায় সৌদি।
এদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছেন, সৌদি বাদশার এ সফর চীনের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক আরো জোরদার করবে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চীন মধ্যপ্রাচ্য সংকটে নাক গলায় না। আর এ কারণেই মধ্যপ্রাচ্যের কাছেও চীন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি মুসলিম প্রধান দেশের কূটনীতিক জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে চীনের ভূমিকা কেবলই একজন ‘সৎ ক্রেতা’ হিসেবে। তিনি বলেন, ‘চীন কোনো পক্ষ নিবে না এবং সেটা প্রশংসনীয়।
আরআর