যুবাইর ইসহাক: বর্তমান বিশ্বে যে কয়টি শব্দ অধিক ব্যবহার হচ্ছে তার অন্যতম OK। কারো কথায় সায় দিতে, ফোনে কথা শেষে, বিভিন্ন ম্যাসেজে আচ্ছা বা ঠিকাছে বুঝাতে ‘ওকে’ ব্যবহার করি হরদম। দিনে কতবার আমরা এই ওকে শব্দটি ব্যবহার করি তার ইয়াত্তা নেই।
বলা হয়, গত দুই শতাব্দির সবচে বেশি ব্যবহৃত শব্দ হচ্ছে ওকে। ওকে শব্দকে OK লেখার সঙ্গে সঙ্গে OKAY লেখারও বেশ প্রচলন আছে।
কিন্তু এই ওকে শব্দ এলো কীভাবে? এ শব্দ যেমন বাঙালিদের কাছে রহস্য। তেমন ইংরেজদের কাছেও অদ্ভুত।
বহুল ব্যবহৃত এই ওকে শব্দ নিয়ে কিছু মজার গল্প আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
এই ওকে শব্দটি সর্বপ্রথম অভিধানে প্রবেশ করে ১৮৩৯ সালের পরে। ১৮৩৯ সালের ২৩ মার্চ ‘বোস্টন মর্নিং পোস্ট’ নামের একটি পত্রিকার দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় বিখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক চার্লস গর্ডন গ্রিন প্রথম ওকে শব্দটি ব্যবহার করেন।
কেউ বলে OK শব্দটি নাকি এসেছে Oll Correct থেকে। Oll Correct -কে সংক্ষিপ্তভাবে OK বলা হয়। সব ঠিক বুঝাতে OK ব্যবহার করা হয়।
কেউ বলেন, ওকে শব্দটি এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভ্যান ব্যুরেন-এর নামের সংক্ষিপ্তরূপ থেকে। প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভ্যান ব্যুরেন নাকি আরো একটি নাম ছিলো Old Kinderhook। তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় Old Kinderhook এর সংক্ষিপ্তরূপ O.K ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। সেই OK নাকি অাজকের OK.
কেউ আবার বলেন অন্য গল্প। যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন এন্ড্রু জ্যাকসন। তিনি ছিলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের মধ্যে সবচেয়ে কম শিক্ষিত। মাত্র ১৩ বছর বয়সে যুদ্ধক্ষেত্রে চলে যাওয়ার কারণে তাকে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছিল। জ্যাকসন 'ঠিকাছে' বলতে সবসময় Oll Correct স্থলে OK বলতেন। এ শব্দটিই নাকি পরে সংশোধিত হয়ে All Correct হয়।
মূলত এই ওকে শব্দটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে বিংশ শতাব্দীর দিকে। এ সময়টায় ওকে শব্দটি সমাজের মূল ধারায় ব্যাপকহারে মিশে যেতে শুরু করে। এমনকি কীভাবে শব্দটি উৎপত্তি হয়, মানুষ তাও ভুলে যায়। ইংরেজ ছাড়া অন্য ভাষার মানুষও খুব সাধারণভাবে ওকে শব্দটি গ্রহণ করে এবং ‘ঠিকাছে’ ‘আচ্ছা’ স্থলে OK ব্যবহার শুরু করে।
আরআর