হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছিলেন তরুণী। হঠাৎ করে সেটি জ্বলতে শুরু করল। এতে মুখ ঝলসে গেল ওই তরুণীর।
এ ঘটনায় বিমানে ব্যাটারি চালিত ডিভাইস ব্যবহারে সতর্কতা জারি করেছে অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাটি ঘটেছে চীনে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানী বেইজিং থেকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নগামী একটি ফ্লাইটের যাত্রী এক তরুণী হেডফোন বিস্ফোরণের শিকার হন। খবর বিবিসির
খবরে বলা হয়, হেডফোনে গান শুনছিলেন ওই তরুণী। হেডফোন বিস্ফোরণের শব্দে জেগে ওঠেন তিনি। এ সময় হেডফোনটিতে আগুন ধরে গেলে তা টেনে খুলে নিচে ফেলে দেন। বিস্ফোরণ এবং আগুনের কারণে ওই তরুণীর চেহারা কালো হয়ে যায় এবং হাতে ফোসকা পড়ে।
তবে ওই যাত্রীর নাম প্রকাশ করেনি অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো (এটিএসবি)। ওই তরুণী সংস্থাটিকে বলেছেন, তিনি গান শোনার সময় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, হেডফোনটি আমার কান থেকে মুখ হয়ে গলায় জড়ানো ছিল, এ কারণে বিস্ফোরণের সময় আমি মুখ চেপে ধরি। ক্রমেই পুড়ে যাওয়ার জ্বলুনি বাড়ছে টের পেয়ে হেডফোনটি টেনে ধরে মেঝেতে ছুড়ে ফেলি। ওই সময় হেডফোন দুটি জ্বলছিল এবং স্বল্প পরিমাণে আগুন ধরে যায়।
এ সময় বিমান সেবিকারা সাহায্যের জন্য দ্রুত ছুটে এসে হেডফোনের ওপর বালতি পানি ঢেলে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
তবে ওই সময় হেডফোনের ব্যাটারি এবং প্লাস্টিক কাভার গলে গিয়ে তা বিমানের মেঝেতে লেগে যায়।
হেডফোন বিস্ফোরণের পর ফ্লাইটটির যাত্রীরা গলে যাওয়া প্লাস্টিক, ইলেকট্রনিকস ও চুল পোড়ার গন্ধ পান বলে এটিএসবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে পুড়ে যাওয়া হেডফোনের ব্র্যান্ডের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে এতে বলা হয়েছে, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরআর