আওয়ার ইসলাম : বিশ্বব্যাপী যে চরমপন্থা বৃদ্ধি পেয়েছে তা চীনেও প্রবেশ করতে শুরু করেছে এমন অভিযোগে দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে নজরদারী বাড়াচ্ছে। গণমাধ্যমে এমনই জানিয়েছেন মুসলিম প্রধান অঞ্চল জিংজিয়ানের কমিউনিস্ট কর্মকর্তা শায়েরেতি আহান।
রোববার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি বলেন, ঐতিহ্যগত চীনা পরিচয় সুরক্ষা করতে চরমপন্থার বিরুদ্ধে সতর্কাবস্থা গ্রহণ করা জরুরী।
এর আগে গত সপ্তায় চীনের মুসলিম প্রধান নিংজিয়া অঞ্চলের কমিউনিস্ট কর্মকর্তারাও ইসলামী চরমপন্থাকে বিপদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আঞ্চলিক ওই বৈঠকে নিংজিয়া কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক লি জিয়াংগুয়ো যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের নীতির তুলনা করেন।
তিনি ট্রাম্পের মুসলিম বিরোধী নীতিকে সমর্থন করে বলেন, ‘ইসলামিক স্টেট ও চরমপন্থিরা যা করে তা হচ্ছে জিহাদ, সন্ত্রাস আর সহিংসতা। আর এ কারণেই ট্রাম্প মুসলিমদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, মুসলিম বিরোধী নীতি যুক্তরাষ্ট্রে বহাল থাকবে কি না সেটা বড় কথা নয়। তবে আমেরিকান সংস্কৃতি থেকে ধর্মীয় চরমপন্থা দূর করার যে প্রচেষ্টা তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। উইঘুর মুসলিম জিংজিয়ান অঞ্চলে সহিংসতার আশঙ্কায় নজরদারি, পুলিশি টহল ইত্যাদি বাড়িয়েছে।
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট ছাত্র মোহাম্মদ আল-সুদাইরি বলেন, নিংজিয়া পার্টি কর্মকর্তাদের এই অভিযোগ বেইজিংয়ের সাবেক কর্মকর্তাদের মুসলিম বিরোধী আচরণের ক্রমবর্ধমান প্রকাশ।
চীনে প্রায় ৮ কোটি মুসলিম বাস করে। তবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবে মুসলিমরা চীনে সব সময়ই বৈষম্যের শিকার।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী মুসলিম বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় চীনের মুসলমানরা আরো বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। জিংজিয়ানে গত কয়েক বছরে সহিংসতায় কয়েকশ লোকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এর কারণ মূলত মুসলিম বিদ্বেষ।
সরকারের ধারণা চীনের জিংজিয়ানের উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে আইএস ও আল-কায়দার যোগাযোগ থাকতে পারে। যদিও তেমন কোন বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
চীনের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে প্রকাশিত ‘এন্টি-ইসলাম এক্সপ্রেশসনস অনলাইন’র মাধ্যমে ইসলাম বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধির সংবাদটি আসে। এটি মূলত তরুণ চীনা মুসলমানদের লক্ষ্য করেই প্রকাশ করা হয়েছে।
-এআরকে