আওয়ার ইসলাম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হতে চাই না। তবে যদি আক্রান্ত হই তাহলে যেন উপযুক্ত জবাব দিতে পারি তার জন্য আমাদের পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। শক্তি বজায় থাকলেই উন্নতি ত্বরান্নিত হবে এবং নিরাপদে থাকব সেটি আমরা বিশ্বাস করি।
‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ নামে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে প্রথমবারের মতো দু’টি সাবমেরিন সংযুক্তির অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমির জেটি সংলগ্ন এলাকায় এক বিশেষ অনুষ্ঠানে চীন থেকে কেনা দু’টি সাবমেরিনের কমিশনিং অর্ডার করেন।
এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এই মার্চ মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে শত্রুবাহিনীকে বিতাড়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মার্চেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে নৌবাহিনীতে যুক্ত হল সাবমেরিন, যা বিশ্বে মাত্র অল্প ক'টি দেশ যুক্ত হতে পেরেছে। আমরা সেই কাতারে যুক্ত হতে পারলাম, এজন্য গর্ববোধ করছি।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'আজ আমরা নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছি। যারা সমুদ্র, আকাশ এবং স্থলভাগে শত্রুমুক্ত করতে পারঙ্গম। আমরা অতি অল্প সময়ের মধ্যে নৌবাহিনীতে অনেক আধুনিক যুদ্ধ জাহাজ সংযুক্ত করেছি।'
সাবমেরিনের প্রথম ক্রুদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাস বীরের ইতিহাস। কাজেই আমি বিশ্বাস করি আপনারা নিজের মেধা ও পেশাগত কশরতের মাধ্যমে নৌবাহিনীর এই আধুনিক অভিযাত্রায় সফল হবেন। দেশের সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও প্রতিরক্ষায় নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করবেন।
তিনি বলেন, আমরা স্থলসীমান্ত ও সমুদ্রসীমার অধিকার সংরক্ষণে সক্ষম হয়েছি। ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত এবং ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমার অধিকার ছিনিয়ে এনেছি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, 'আমরা আমাদের ভূ-খণ্ড নিরাপদ রাখব। এই ভূ-খণ্ড ব্যবহার করে আমরা কাউকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে দেব না। সেজন্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।'
‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ নামে বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন গত বছরের ২২ ডিসেম্বর চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়। এর আগে ১৪ নভেম্বর এই সাবমেরিনগুলো বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে চীন।
-এআরকে