আওয়ার ইসলাম : তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত গণভোট প্রশ্নে ইউরোপের সঙ্গে নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে তুরস্ক। ইতোমধ্যে জার্মানিসহ ইউরোপের আরও কয়েকটি দেদেশর সঙ্গে তুরস্কের বিতর্ক শুরু হয়েছে।
তুরস্কের গণভোট নিয়ে সেখানে প্রচারণা চালাতে নিষেধ করেছে দেশগুলো। নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন শহরের কর্তৃপক্ষ তুর্কি রাজনীতিকদের প্রচারসভা বন্ধ করা হয়েছে।এমনকি তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজ অবতরণের অনুমতিও প্রত্যাহার করে নেয় নেদারল্যান্ডস, যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে তুরস্কে আসন্ন গণভোট সামনে রেখে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী তুর্কিদের মধ্যে প্রচারণা চালাতে চেয়েছিলেন তুর্কি নেতারা। জার্মানি প্রথম এ ব্যাপারে আপত্তি তোলে। এ নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান দেশটির বিরুদ্ধে ‘নাৎসি আচরণের’ অভিযোগ তুলে বাগ্যুদ্ধের সূত্রপাত করেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় গতকাল ইস্তাম্বুলে এক জনসভায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, নেদারল্যান্ডস হলো ‘নাৎসিদের অবশিষ্টাংশ এবং ফ্যাসিবাদী।... আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উড়োজাহাজের ওড়া যত খুশি বন্ধ করুন। এখন থেকে আমরাও দেখব, তুরস্কে আপনাদের উড়োজাহাজগুলো কীভাবে অবতরণ করে।’
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজ অবতরণ করতে না দেওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যার জন্য তুরস্কে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে ডেকে পাঠায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সুইজারল্যান্ডের জুরিখেও আজ রোববার তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এরই মধ্যে সে দেশের একটি ভেন্যু তাঁর সভা আয়োজনে অপারগতা প্রকাশ করেছে। অস্ট্রিয়ার হোরব্রাহাঞ্জ, লিনজ ও হেরজোগেনবোর্গ শহরেও তুর্কি রাজনীতিকদের প্রচারণা বাতিল করা হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় অবস্থানরত তুর্কিদের মধ্যে গণভোটের প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নেওয়ায় তুরস্কের সরকারের সমালোচনাও করেছে নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রিয়ার সরকার।
রয়টার্স জানায়, তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোভলুত চাভুসোগলু গতকাল সিএনএনের তুর্কি ভাষার সংস্করণকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জনসভা করতে না দিলেও তিনি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহর সফর করবেন। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইইউভুক্ত দেশগুলো যদি তুর্কিদের জন্য প্রতিশ্রুত ভিসামুক্ত সুবিধা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়, তাহলে শরণার্থীসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইইউর সঙ্গে তুরস্কের যেসব চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, সেগুলো বিপন্ন হয়ে পড়বে।
-এআরকে