কুমিল্লায় পুলিশের ধাওয়ার খেয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজিত জনতা পুলিশের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসে আগুন দিয়েছেন। আটক করেছেন তিন পুলিশ সদস্যকে।
শুক্রবার সকালে জেলার সদর উপজেলার বালুতোপা বাজারের পাশের সীমান্তমূখী একটি রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯টার দিকে আটককৃতদের উদ্ধার করে জেলা সদরে নিয়ে যায়। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, দুর্ঘটনায় এক যুবক নিহতের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে ভুল বুঝে গাড়িতে আগুন দেন।
পুলিশ জানায়, সদর দক্ষিণ মডেল থানার এএসআই জহিরের নেতৃত্বে পুলিশ রাস্তায় টহল দিয়ে ভোরে থানায় ফেরার পথে সদর উপজেলার চাপাপুর এলাকায় এক মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাওয়া করলে তিনি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে নিহত হন। এ সময় পুলিশের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসও রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আটকে যায়। এ ঘটনায় সকালে উত্তেজিত জনতা ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কনস্টেবল কামাল ও খোরশেদকে আটক করে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক দুই পুলিশ কনস্টেবলকে উদ্ধার করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ রাস্তা থেকে প্রায় ৩শ ফুট দূরে একটি ধানের জমিতে নিহত ওই যুবকের লাশ গুম করতে চেয়েছিলেন, তাই তাদের আটক করা হয়।
এদিকে জনতার কবল থেকে উদ্ধার হওয়া দুই পুলিশ সদস্যকে ঘটনার বিষয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা গেছে। সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ওই যুবক নিহত হয়েছে, অন্য কারণে নয়। কিন্তু এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাল মর্গে নেয়া হয়েছে।
আরআর