মুহাম্মাদ আবু নাইম ও মুহাম্মাদ রায়হান রাযী: বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি ও জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা মামুনুল হক ইসলামী ঐক্যের ডাক দিয়ে বলেছেন, সবাই ইসলামি ঐক্য চায়! কিন্তু ঐক্যের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনা কারো কাছে নেই।
তিনি বলেন, এখানে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস। এটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বৃহত্তর ইসলামি ঐক্যের কার্যকর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
এই কারণে তিনি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ইসলামী ঐক্যের জন্যে প্রয়োজনে সংগঠনের ব্যানার এবং নাম বিসর্জন দেওয়ার জন্যে প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানান।
আজ (৯ মার্চ) বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সকাল ১১ টায় কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়ে বিকাল ৫ টায় প্রধান অতিথির বক্তব্য ও দোয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুব মজলিস খ-শাখার কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্র নেতা মুহাম্মাদ জাহিদুজ্জামান, যুব মজলিসের সভাপতি পরিষদ সদস্য জননেতা জনাব মুহসিন ভুঁইয়া, যুব মজলিস খ-শাখার কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আল আবিদ শাকির, সম্মেলনের সভাপতি মাওলানা রেজাউল করীমসহ কেন্দ্র এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার অনন্য নেতৃবৃন্দ।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, পাঠ্যপুস্তক নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে এসবের প্রতি সবাইকে দৃষ্টি রাখতে হবে। শাহ জালালের এই বাংলায় নাস্তিক্যবাদি শিক্ষা ব্যবস্থা কোন ভাবেই চলতে দেওয়া হবে না।
তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিমকোর্টের নাকের ডগায় গ্রীক দেবীর মূর্তি স্থাপনের ব্যাপারেও তীব্র নিন্দা জানান এবং দ্রুত মূর্তি সরানোর আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে ফতোয়া বিরোধী রায়ের ব্যাপারে যেভাবে বাংলাদেশের ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতা শাইখুল হাদীস মুফতী আমীনির নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফতোয়া থাকবে এই রায় প্রধানে হাইকোর্টকে বাধ্য করেছিল, তেমনি এই গ্রীক দেবীকে যদি অপসারণ করা না হয় এবং বর্তমান সরকার যদি তৌহিদী জনতার ইসলামী সেন্টিমেন্টকে মূল্যায়ন না করে তাহলে প্রয়োজনে সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
আরআর