খেলাফতে ইসলামী বাংলাদেশের আমীর ও ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেছেন, ইসলামই নারীকে প্রকৃত মর্যাদার আসনে বসিয়েছে। ইসলামপূর্ব সমাজে নারীকে অবহেলা ও করুণার পাত্রী হিসেবে দেখা হত। আজ বাংলাদেশসহ বিশ্বে যারা নারী অধিকার নিয়ে সরব রয়েছেন, তাদের প্রত্যেকেরই ইসলামের ইতিহাস পাঠ করা উচিত। তাহলে ইসলামের নারী অধিকার সম্পর্কে তাদের ভুল ধরণার অবসান হবে।
তিনি বলেন, বিশেষ প্রেক্ষাপটে নারীদের বিয়ের বয়সে ছাড়ের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ পাশ হয়েছে। এখানে কিছু ইতিবাচক ব্যাপার থাকায় আমরা আইনটির সরাসরি বিরোধিতা করছি না। বরং আমরা মনে করি, বয়স ছাড়ের ব্যাপারটা যৌক্তিক এবং এটি সমাজের অগ্রগতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। যারা আইনটিতে বয়স ছাড়ের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করছেন তারা প্রকৃতপক্ষে ইসলামী মূল্যবোধ ও নৈতিকতা বিবর্জিত কাজ করছেন।
মাওলানা হাসানাত আমিনী আরও বলেন, ইসলামে যে কোন ধরনের মূর্তি স্থাপন ও সংরক্ষণ হারাম। সুতরাং আজকে যারা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্রীক মূর্তিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক বলে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন, তারা ইসলামের অবমাননা করছেন। তিনি অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণের দাবী জানান।
আজ বুধবার বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ইসলামী ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘বিবাহ আইন-২০১৭ইং-এর শরয়ী দৃষ্টিভঙ্গি ও সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণ শীর্ষক’ গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন। আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা যোবায়ের আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতী তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি আবদুল্লাহ মাসুদ খান, আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান, সেক্রেটারী জেনারেল এইচ.এম.সাইফুল ইসলাম মজুমদার, ছাত্র খেলাফতের সেক্রেটারী জেনারেল মু. আবুল হাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিউদ্দীন, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আরআর