আওয়ার ইসলাম: উপমহাদেশের অবিসংবাদিত আধ্যাত্মিক রাহবার ফিদায়ে মিল্লাত আসআদ মাদানী রহ.- এর খলিফা ও বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ আহূত তাড়া্ইলের ৪ দিন ব্যাপী ইসলাহী ইজতেমা সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রতিদিনই দেশের শীর্ষ আলেমগণ আলোচনা পেশ করেছেন। তালিম, জিকির, প্রশিক্ষণ, দরূদ ও সালাম, আম বয়ানসহ নানা কর্মসূচি ছিল পুরো চারদিন ব্যাপী।
আখেরী মোনাজাতের আগে আল্লামা মাসঊদ নারীর প্রতি সদয়সম্মান জানানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, নারী মানুষ। স্ত্রী নির্যাতনে কোনো কল্যাণ নেই। বরং যে পুরুষ স্ত্রী নির্যাতন সহ্য করে তিনি হাশরের ময়দানে হযরত আইয়্যুব আ.-এর সঙ্গী হবেন।
রবিবার দুপুরে তাড়াইলের বেলঙ্কার জামিআতুল ইসলাহ ময়দানে মোনাজাতের পূর্বে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
নওজোয়ানদের যৌতুকমুক্ত জীবন গড়ার অঙ্গীকার গ্রহণ করে তিনি বলেন, শ্বশুর বাড়ির যৌতুকের সম্পদ গলিত পূঁজের মতো। একজন যুবক কাজ করে খাবেন। সম্পদ অর্জন করবে, বৈধভাবে খরচ করবে। এটা তার গৌরবের বিষয়। যৌতুকের উপর দৃষ্টি যাবে কেন?
ছেলের বাবাকে বিয়ে সহজ করার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আল্লামা মাসঊদ বলেন, বিবাহ অনুষ্ঠান যা হবে ছেলের বাড়িতে, মেয়ের বাবার বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান হবে না। শরীয়তের দৃষ্টিতে মেয়ের বাবা খাবারের আয়োজন করতে বাধ্য নয়।
মা-বাবার হারাম আবদার পূরণে ইসলাম সমর্থন করে না জানিয়ে আল্লামা মাস্ঊদ বলেন, নামায না পড়তে, যৌতুক নিতে বাধ্য করলে এমন মা-বাবার হারাম আবদার পূরণ করার কোনো বৈধতা নেই।
ইসলাহী ইজতেমা শুরু হয় ২ মার্চ বৃহস্পতিবার। রবিবার আখেরী মোনাজাতে অংশগ্রহণ করার জন্য মানুষের ঢল নামে ভোর রাত থেকেই।
ইজতেমায় উলামায়ে কেরামের জন্য, নারীদের জন্য, তালিবুল ইলমের জন্য, স্কলার আলেমদের জন্য পৃথক পৃথক আলোচনারও ব্যবস্থা করা হয়।
শীর্ষ আলেমদের মধ্যে ইসলাহী বয়ান পেশ করেন, মাওলানা রুহুর আমীন খান উজানবী, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মুফতি মুহাম্মাদ আলী, মুফতি ইবরাহীম শিলাস্থানী, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইফী, মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ, মাওলানা এমদাদুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা আবদুর রহীম কাসেমী, মাওলানা হুসাইনুল বান্না, মাওলানা আবদুর রহীম তালুকদার, মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন প্রমুখ।
আরআর