আওয়ার ইসলাম : ইউরোপের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কসোভোকে স্বীকৃতি দিচ্ছে বাংলাদেশ। এসংক্রান্ত এজেন্ডা আজ সোমবার অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভা বৈঠকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে এ বৈঠক হবে।
কসোভো ইউরোপের বলকান অঞ্চলের একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র, যা আগে সার্বিয়ার প্রদেশ ছিল। ১৯৯৯ সাল থেকে প্রদেশটি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ছিল। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কসোভো স্বাধীনতা ঘোষণা করে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ শতাধিক দেশ ইতিমধ্যে কসোভোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এ বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রায় এক দশক দেরিতে হলেও আমরা যদি কসোভোকে স্বীকৃতি দিতে পারি তবে তা ইতিবাচক হবে। ’ কসোভাকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ ছিল কি না, জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী সাবেক এ কূটনীতিক বলেন, ‘অনুরোধ ছিল। রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি নিজেও এর পক্ষে সুপারিশ করেছিলাম। ’ তিনি বলেন, একটি দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় ১০ বছর পর এ স্বীকৃতি দেওয়া আজ হয়তো রুটিন কাজ। কিন্তু আরো আগে স্বীকৃতি দিতে পারলে বাংলাদেশের সঙ্গে ওই দেশটির সম্পর্ক ও কূটনীতি বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারত।
কসোভো ইস্যুতে রাশিয়ার মনোভাব ও আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারাধীন মামলা এত দিন বাংলাদেশের স্বীকৃতি না দেওয়ার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে কূটনৈতিক সূত্রগুলো। তবে রাশিয়ার মনোভাবেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সৌদি আরব, তুরস্ক, মালয়েশিয়াসহ অনেক মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ২০০৮-০৯ সালের দিকেই কসোভোকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
সূত্র : কালেকণ্ঠ
-এআরকে