হাসান ইনাম। একজন তরুণ লেখক। ঢাকার জুরাইনে বেড়ে উঠা ইনাম লিখে যাচ্ছেন অনেক আগে থেকেই। পড়াশোনা করছেন দারুন নাজাত মাদরাসায় দশম শ্রেণিতে। এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ। এর আগেও বের হয়েছে তার একটি উপন্যাস- ছায়াবাহক। আওয়ার ইসলাম টুয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধি বশির ইবনে জাফর এর সাথে কথাবার্তায় উঠে এসেছে লেখকের বইমেলা বিষয়ক কিছু আলাপন।
আসসালামু আলাইকুম ।
ওলাইকুম আসসালাম।
কেমন আছেন?
জ্বী আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছি।
আপনার গল্পগ্রন্থ সুলতানস টি স্টল কে প্রকাশ করেছে? কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
বইটির প্রকাশ করেছে 'খড়' প্রকাশনী। এটির পরিবেশক লিটল ম্যাগ চত্বরের 'সময়ের জানালা'।
সুলতান'স টি স্টল নিয়ে আমার যেই প্রত্যাশা ছিলো সেই প্রত্যাশা ছাপিয়ে আমার প্রাপ্তিটাই বেশি। পাঠক সমাজের অনেকেই নতুন ভাবে চিনছে আমাকে। তবে বইয়ের বাইন্ডিং প্রিন্টিং নিয়ে আপত্তি উঠছে।
লেখালেখিতে কীভাবে এলেন?
লেখালেখিতে তেমন ঘটা করে আসিনি। ছোটবেলা থেকেই এদিকে টান ছিলো। নিজের নাম ছাপার অক্ষরে দেখবার ইচ্ছে ছিলো। লিখে লিখে রাফখাতা শেষ করতাম। বইমেলাতেই পরিচয় হয় দুই লিটল ম্যাগ সম্পাদকেরর সাথে। আমি ওনাদের মস্তবড় ফ্যান ছিলাম এখনও আছি। উনারা লেখা চাইলেন। দিলাম..। ভালো মনে করে বা স্বজনপ্রীতিতে ছাপা হলো আমার লেখা। প্রথম লেখা বলতে আমার জীবনে কিছু নেই। প্রথম দুইটি লেখা একত্রে একই মাসে ছাপা হলো। তারপর থেকে এই পর্যন্ত পথচলাটাও বেশিদিনের নয়। রোকন ভাই এবং জিয়া ভাইয়ের কাছে আমি চিরকালই কৃতজ্ঞ থাকবো।
এ পর্যন্ত আপনার কয়টি বই প্রকাশ হয়েছে?
এ পর্যন্ত আমার প্রকাশিত গ্রন্থ দুইটি।
লেখালেখির জগতে আপনার আদর্শ কে?
আদর্শ কে? এটা আমার জন্য কঠিন প্রশ্ন। এককভাবে কাউকেই আমি আদর্শ ধরি না। সবাইকেই দেখি। সবার থেকেই নেওয়ার চেষ্টা করি। আমি সমসাময়িকদের বেশি অনুসরণ করি।
ভবিষ্যতে নিজেকে কার মতো দেখতে চান?
ভবিষ্যত নিয়ে এখনও সেইভাবে ভাবছি না। ছোটগল্প নিয়ে কাজ করতে চাই। সময় কথা বলবে।
আরআর