আওয়ার ইসলাম: শনিবার রাতে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন চেয়ারপারস খালেদা জিয়া।
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে প্রশ্ন তুললেও নির্বাচনের বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থান নিচ্ছে দলটি। এ লক্ষ্য সামনে রেখে দলের সিনিয়র নেতাদের দ্রুত প্রস্তুতি নিয়ে নিজ-নিজ নির্বাচনি এলাকায় সভা-সমাবেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
ভাইস-চেয়ারম্যানদের বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) একে এম নুরুল হুদার নিরপেক্ষতা, বিগত দিনের কার্যক্রম, সিইসি হওয়ার পর ফুলেল শুভেচ্ছাপ্রাপ্তির বিষয়টি নিয়ে অংশগ্রহণকারী প্রায় প্রত্যেকেই কথা বলেন।
বৈঠকে বিএনপির অন্তত ২০জন ভাইস চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আলোচনার মুখ্য বিষয়গুলো নোট করেন।
দলটির একজন ভাইস চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে জানান, বৈঠকে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যানরা বলেছেন, নতুন সিইসির নিরপেক্ষতার প্রশ্নটি ইতোমধ্যে উঠেছে। নতুন সিইসির অভিজ্ঞতার স্বল্পতা, করপোরেট একটি গ্রুপে চাকরি করা, নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকরাসহ বিভিন্ন বিষয়েও কথা বলেছেন তারা।
বিএনপি আপাতত চায় রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনের মধ্য দিয়েই দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে বা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে যে আলোচনা চলছে, তা নিত্যান্তই অপ্রয়োজনীয় বলে বৈঠকে মত দেন কয়েকজন ভাইস চেয়ারম্যান।
এবিষয়ে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘যতদূর জানি, বৈঠকে নির্বাচনের প্রস্তুতি ও সংগঠন গোছানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দ্রুত নির্বাচন ও আন্দোলন সংগ্রামের অংশগ্রহণের বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। আর বিএনপি নির্বাচনমুখী দল, সে কারণে সরকার চাইলেও অপ্রস্তুত করে দিয়ে নির্বাচন দেবে, এ নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই। ’ তিনি মনে করেন, ‘সরকার চাইলেও আরেকটা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন করতে সক্ষম হবে না। ’
আরআর