আহমেদ তানভীর। সমকালিন সাহিত্যাঙ্গনে প্রাণজ ও আত্মিক কাব্যের কবিই যাকে বলা হয়। শব্দের কারুকাজে মাটি ও মানুষের ছবি আঁকতে গিয়ে নিজেকে একজন 'শব্দশ্রমিক' বলে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন এ মানুষটি। 'জীবন গাঙের পরাণ কথা' ও 'কাঠকয়লার আঁচড়' নামে ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে তার দুটি কাব্যগ্রন্থ। ছিলেন সাপ্তাহিক লিখনীর ভাষা সম্পাদক।
কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারী কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স সম্পন্ন করে বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরে একটি বেসরকারী কলেজে ইংরেজি প্রভাষক নিয়োজিত আছেন।
তার সাথে সংক্ষিপ্ত কথাবার্তায় উঠে এসেছে এবারের বইমেলা নিয়ে কিছু কথা। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আওয়ার ইসলাম টুয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রতিনিধি বশির ইবনে জাফর।
কেমন আছেন?
ব্যস্ত আছি, বেশ তো আছি।
এবারের বইমেলায় নতুন কোনো বই আসছে কি?
নাহ। খুব নিকট ভবিষ্যতে আসার সম্ভাবনাও কম। আজকাল সাহিত্যমানসম্পন্ন লেখা আসছে না তো, তাই। আজেবাজে লেখাকে মলাটবন্দি করতে চাই না।
গতবারের বইমেলা আর এবারের বইমেলা- কোনো পরিবর্তন কি লক্ষ্য করেছেন?
এখনও যাইনি। না গিয়ে বলতে পারছি না।
বাংলা একাডেমির মেলা ব্যবস্থাপনায় আপনি কি সন্তুষ্ট?
বাংলা একাডেমির একক আধিপত্য সাহিত্যের চাষাবাদকে ব্যাহত করবে। তাই ব্যবস্থাপনায় প্রকৃত সাহিত্যমনস্কদের যুক্ত করা আবশ্যক বলে মনে করি।
লেখালেখিতে কীভাবে এলেন?
কীভাবে কীভাবে যেনো চলে এলাম। এসে বুঝলাম, ধরা পড়ে গেছি। এ থেকে মুক্তি অসম্ভব।
লেখালেখি নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী?
পরিকল্পনাহীন।
পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলার আছে?
নাহ। পাঠকরা যথেষ্ট বোঝে। তাদের কিছু বলতে গিয়ে অযথা পাণ্ডিত্য ফলানোর কোনো মানে নেই।
আরআর