আওয়ার ইসলাম: কানাডার কুইবেক সিটির মসজিদে বন্দুকধারীর গুলিতে ৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় স্বীকারুক্তির ভিত্তিতে একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি ফরাসি-কানাডীয় নাগরিক এবং কট্টর ট্রাম্প সমর্থক।
আটক আলেকজান্ডার বিসোনেট (২৭) রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে ৬ জনকে হত্যা ও ৫ জনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা যায়, আলেকজান্ডার নিজেই পুলিশকে ফোন করে মসজিদে হামলার ঘটনার ব্যাপারে সহযোগিতা করার কথা বলেন। এরপর তাকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি কোনো যুক্তি দেননি।
তিনি স্থানীয় লেভাল বিশ্ববদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। তার ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট থেকে জানা যায় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কট্টরপন্থি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
রোববার রাত ৮ টার দিকে যখন হামলা চালানো হয় তখন মসজিদটিতে ৫০ জন অবস্থান করছিলেন। এ ঘটনায় প্রথমে এক মরক্কোর নাগরিক মোহাম্মদ খাদিরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তাকে সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
হামলায় নিহত ৬ ব্যক্তির মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন, আজেদিন সুফিয়ান, খালেদ বেলকাচেমি ও বোউবেকার থাবতি। এদের মধ্যে সুফিয়ান একজন হালাল মাংস ব্যবসায়ী ও তিন সন্তানের জনক, থাবতি তিউনিশিয়া বংশদ্ভুত ও দুই সন্তানের জনক এবং খালেদের প্রতিবেশি।
নিহত খালেদ বেলকাচেমি ফ্রেঞ্চ-কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং এ ইউনিভার্সিটির ছাত্র আলেক্সজান্ডার বিসনেট। নিহত অপর তিনজন হচ্ছে মসজিদের প্রহরী ইব্রাহিম ব্যারি (৩৯), আহমেদ ইউনেস (২১) যিনি একজন ছাত্র ও আব্দেল কারিম হাসেন যিনি তিন সন্তানের জনক এবং সরকারি চাকুরে।
পুলিশের কাছে আলেক্সান্ডার বিসনেট ডানপন্থী কট্টোর রাজনীতির সমর্থক ও ট্রাম্প এবং লি পেনের সমর্থক বলে দাবি করে। একটি নারীবাদি অনলাইনে সে নিয়মিত উগ্র রাজনৈতিক মতবাদ প্রচার করত এবং ফ্রান্সের উগ্রাবাদি জাতীয়তাবাদী নেত্রী ম্যারিন লি পেনের দ্বারা সে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল।
পুলিশ বিসোনেটের কাছ থেকে দুটি একে-৪৭ রাইফেল ও একটি হ্যান্ডগান উদ্ধার করেছে। হামলার পর পুলিশ মসজিদ থেকে ৩৯ জনকে উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে শিশুও ছিল। মসজিদের সভাপতি মোহাম্মদ ইয়ানগুই ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না। তিনি বলেন, এধরনের হামলা বর্বরতা।
আরআর