মুহাম্মাদ লুতফেরাব্বী
আল আযহার, মিশর থেকে
মিশরের কায়রো নাসার সিটিতে গত ২৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে পক্ষকালব্যাপী ৪৮ তম ‘কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০১৭’। এবারের মূল প্রতিবাদ্য ‘যুবসমাজ ও আগামীর সংস্কৃতি’।
মেলায় এবার অতিথি দেশ নির্বাচিত হয়েছে মরক্কো এবং জাতীয় ব্যক্তিত্ব মনোনীত হয়েছেন বিশিষ্ট কবি সালাহ আব্দুস সবুর।
উল্লেখ্য, কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় মেলা। ১৯৬৯ এ এই বইমেলার যাত্রা শুরু হয়। কায়রো শহর প্রতিষ্ঠার ১০০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তৎকালীন সংস্কৃতিমন্ত্রী এই বইমেলার সূচনা করেন। কালক্রমে এই বইমেলার পরিধি ও সমৃদ্ধি এতটাই বৃদ্ধি পায় যে, বর্তমানে কোন কোন সমীক্ষায় একে 'ফ্রাঙ্কফুট বইমেলা'র পর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
প্রতি বছর শিক্ষাবর্ষের প্রথম পরিক্ষার ছুটিতে এই বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আরবের সব দেশ সহ ইউরোপ ও এশিয়ার অনেক দেশ এই মেলায় অংশ নেয়। প্রায় ২০০ নিয়মতান্ত্রিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও কালচারাল সেন্টারও থাকে সেখানে।
বই বিক্রি ছাড়াও বইমেলা মিলনায়তনে চলে সভা – সেমিনার, সাহিত্যিক – সাংস্কৃতিক নানা প্রোগ্রাম।
মিশরের সাধারণ জনগনের বাইরে এই বইমেলার প্রতি সবচেয়ে বেশি আকাঙ্ক্ষিত থাকে বিদেশি ছাত্রছাত্রীরা। শাস্ত্রীয় কিতাবাদি ছাড়াও নানা দুর্লভ বইয়ের সন্ধান মেলে এখানে। লেখক–পাঠক–প্রকাশকের সেতুবন্ধন ঘটে এই মিলনমেলায়।
বর্তমানে বাংলাদেশে আরবী কিতাবের যে সহজলভ্যতা দেখা যাচ্ছে এর অন্যতম উৎস হলো কায়রোর এই বইমেলা। ২৬ জনুয়ারি শুরু হওয়া এই মেলা আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ইনশাআল্লাহ।
আরআর