রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

টার্গেট মুসলিম ভোট

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

mayabatiভারতের উত্তর প্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি (সপা) কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনি ময়দানে নামায় মুসলিম ভোট পেতে জোরালো তৎপরতা শুরু করেছেন বিএসপি প্রধান মায়াবতী। সপা-কংগ্রেস জোট হওয়ায় মুসলিম ভোট যাতে জোটের দিকে না চলে যায় সেই চেষ্টা শুরু করেছেন তিনি।

মায়াবতী এবারের নির্বাচনে দলিত এবং মুসলিম ভোটের ওপরে জোর দিয়েছেন। সরকারি হিসাবে রাজ্যে ১৯ শতাংশ মুসলিম ভোট রয়েছে। যদিও বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা একটু বেশিই হবে। মুসলিম ভোট একতরফাভাবে যেদিকে যাবে সেই দলেরই রাজ্যে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মায়াবতী ১৯ শতাংশ মুসলিম ভোট এবং ২৩ শতাংশ দলিত ভোট তার পক্ষে নিয়ে সহজেই নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার ছক কষেছেন। মায়াবতী এক্ষেত্রে  ৪০৩ আসনের মধ্যে আগেভাগে ৯৭ টি আসনে মুসলিম প্রার্থীদের দাঁড় করিয়েছেন যা একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। বিএসপির তারকা প্রচারকদের মধ্যে মায়াবতীর পরেই দলীয় মহাসচিব নাসিমুদ্দিন সিদ্দিকিকে তালিকায় রাখা হয়েছে। মুসলিম ভোট নিজেদের পক্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য মূলত নাসিমুদ্দিন সিদ্দিকিকেই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এদিকে, কওমি একতা দলের প্রতাপশালী নেতা এবং চারবারের বিধায়ক মুখতার আনসারি পরিবার মায়াবতীর দলে যোগ দিতে চলেছেন। মুখতারসহ তার ভাই এবং ছেলে অর্থাৎ তিনজনকে মায়াবতী টিকিট দেবেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। যদি সেই জল্পনাই সত্য হয় তাহলে মায়াবতীর দলে মুসলিম প্রার্থী ৯৭ থেকে বেড়ে ১০০ তে গিয়ে দাঁড়াবে। তাছাড়া মুখতার পরিবারের রাজনৈতিক প্রভাব থেকে বিএসপি বাড়তি সুবিধা পেতে পারে।

মুখতারের ভাই আফজাল আনসারি ২০১০ সালে ‘কওমি একতা দল’ গঠন করেন। ২০১২ সালে মুখতার মউ থেকে নির্বাচনে জয়ী হন। মুখতারের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা অবশ্য শুরু হয় ১৯৯৬ সালে। তার বড় ভাই সিবগাতুল্লাহ আনসারিও মুহাম্মদাবাদ কেন্দ্রের বিধায়ক। আনসারি ভাইয়েদের ‘কওমি একতা দল’র সঙ্গে  সমাজবাদী পার্টির মধ্যে বেশ কয়েকবার রফা হলেও সপা’র পারিবারিক কলহের জন্য তা ভেঙে যায়। এরপরেই আনসারি পরিবার বিএসপি’র দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে।

সপা’র পক্ষ থেকে টিকিট না মেলায় মুখতারের বড় ছেলে আব্বাস আনসারি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ‘সপা’র ইটের জবাব পাথর দিয়ে দেয়া হবে। আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে  থামানোর জন্য এবং কওমের ভালোর জন্য সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এ কী করল? রাজ্যের মুসলিমরা আজ দেখছে কীভাবে সপা বিজেপি’র পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশ এবং রাজ্যকে বরবাদ করা শুরু করেছে। সমাজবাদী পার্টি আসলে মুসলিম বিরোধী।’

উত্তর প্রদেশে সপা মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের বাবা মুলায়ম সিং যাদব এবং চাচা শিবপাল যাদবের প্রচেষ্টায় ‘কওমি একতা দল’ সপা’র সঙ্গে একীভূত হয়েছিল। কিন্তু অখিলেশ তার বিরোধিতা করেছিলেন। কওমি একতা দলের নেতারা সপা থেকে টিকিট না পাওয়ায় বিএসপিতে ভিড়তে যাচ্ছেন। -পার্সটুডে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ