আওয়ার ইসলাম: `পাপকে ঘৃণা কর পাপীকে নয়’ এই বাক্যটি হতে পারে 'শেষ চিঠি' উপন্যাসের মূল শ্লোগান।
উপন্যাসের প্রধান দু'টি চরিত্রের একটি হচ্ছে- ধার্মিক পরিবারের মেয়ে নওশিন। যার বাবা একটা সৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মেয়েকে মেডিকেল কলেজে পড়াচ্ছেন। যিনি চান, মেয়ে সবসময় ধর্মীয় ধ্যান ধারণায় বেড়ে উঠুক।
কিন্তু মেয়ের পছন্দ পশ্চিমা সংস্কৃতি। ধর্মভীড়ু মানুষদের ওর কাছে কেমন যেন সেকেলে এবং অনাধুনিক মনে হয়। ওর ধারণা, এরা নারীদের অধিকারবঞ্চিত রাখতে চায়।
এটা তো নওশিনের ধারণা। কিন্তু আসলেই কি ধর্মবিশ্বাসী মানুষগুলো এমন। নাকি এর বিপরীত?
অন্য চরিত্রটি হচ্ছে- তরুণ আ'লেম লেখক আহসান হাফিজ। অপসংস্কৃতির উত্তাল তরঙ্গের বিপরীত স্রোতধারা তৈরির লক্ষ্যে যে লিখে যায় অবিরাম।
স্বনামধন্য এই লেখককেই পাত্র হিসেবে নওশিনের বাবা-মায়ের প্রথম পছন্দ।
কিন্তু নওশিন? সে কি মেনে নিবে তাদের পছন্দ এবং বিশ্বাস? তার নিজের পছন্দ-অপছন্দগুলোরই বা কী হবে তাহলে?
উপন্যাসটি এমনই কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করাবে পাঠকদের।
এছাড়াও রয়েছে কিছু মজাদার চরিত্র। রয়েছে ৫ মে কেন্দ্রিক হৃদয় ছোঁয়া একটি বাস্তবতা এবং আরও কিছু...
সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে তরুণ লেখক মাহিন মাহমুদের উপন্যাস ‘শেষ চিঠি’। বইটি প্রকাশ করেছে মাকতাবাতুল হাসান।
বইটি সম্পর্কে মাহিন মাহমুদের ভাষ্য- আমাদের দেশে অনেক নামী-দামী লেখক রয়েছেন। যারা প্রত্যেকেই পাঠকদের হৃদয় জয় করেছেন তাদের চমৎকার লিখনশৈলি দিয়ে। কিন্তু প্রায় প্রতিটি লেখকই কোনো না কোনোভাবে আমাদের ধর্মকে এবং ধর্মপ্রাণ মানুষগুলোকে নেতিবাচকভাবে পাঠকদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। জানি না কেন এটা করেছেন এবং করছেন? হয়তো নির্দিষ্ট একটা পাঠকগোষ্ঠিকে আকৃষ্ট করতেই এটা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি তাদের তুলনায় অতি ক্ষুদ্র মানুষ। তবে চেষ্টা করছি ঠিক এর উল্টোটা। ধর্মপ্রাণ মানুষগুলো সত্যিকার অর্থে কেমন- ঠিক এই জিনিসটাই তুলে ধরার অভিপ্রায় মনে ধারণ করেছি। মহান রাব্বে কারিমের অপার করুণা, এবং সম্মানিত পাঠকদের আন্তরিক দুআ' এক্ষেত্রে কাম্য।
এর আগে লেখকের প্রথম উপন্যাস 'আঁধার মানবী' বেশ সাড়া ফেলে পাঠক হৃদয়ে।
আরআর