আওয়ার ইসলাম: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পূর্ব নির্ধারিত ‘শান্তিপূর্ণ’ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সরকার সংঘাতময় পরিস্থিতির উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ।
বৃহস্পতিবার বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের দল যখন বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূচি পালন করছিলো তখন এক দিকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে তারা পুলিশ-র্যাব ব্যবহার করে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টা করেছে। অন্যদিকে তাদের দলীয় পেটুয়াবাহিনী দিয়ে এই কর্মসূচি বানচালের চেষ্টা করেছে। আমাদের নয়া পল্টনের অফিসের সামনে প্রজন্ম লীগ নামে তাদের একটি পেটুয়া বাহিনী এখানে এসে আমাদের ব্যানার পুঁড়িয়ে দেয় এবং তাণ্ডব সৃষ্টি করে একজন কর্মীকে মারধর করে। পুলিশের উপস্থিতিতে এটা হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে বানচাল করতে সরকার আগে থেকেই তাদের নেতারা ঘোষণা দিলেন, বিএনপিকে ৫ তারিখ মাঠে নামতে দেওয়া হবে না। এটা গণতন্ত্রের ভাষা হতে পারে। এ থেকে প্রমাণ হয়, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।
ফখরুল বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে আপনারা বুঝতে পারেন যে কী ধরনের উস্কানি সরকার করছে। অর্থাৎ তারা চাচ্ছে যে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপিকে একটা উত্তেজনাকর অবস্থার মধ্যে নিয়ে যাওয়া, সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়া। আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি, আমরা সংঘাত চাই না। আমরা সংঘাত এড়িয়ে গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের কর্মসূচি পালন করতে চাই।
ফখরুল বলেন, মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যার পর পরই আমরা যেটা বলেছি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। দু:খজনকভাবে এটা তো হবেই না, উপরন্তু এটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং উদ্যোগ নিয়েছেন। আপনারা নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন যে, তার পরিবার থেকে কথা উঠে এসেছে, তার দলের লোকও জড়িত থাকতে পারে। একই সঙ্গে এই ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, দেশে সন্ত্রাস-হত্যা-গুম-খুন যেভাবে ঘটছে, তাতে রাষ্ট্র আছে বলে মনে হয় না। আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগের সরকারে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। তাদের উচিৎ অবিলম্বে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে জনগনের হাতে সেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেওয়া।
তিনি জানান, ৭ জানুয়ারি সমাবেশের বিষয়ে পুলিশের অনুমতি এখনও না পেলেও দলের প্রস্তুতি আছে। জনসভায় খালেদা জিয়া থাকবেন।
ডিএস