আওয়ার ইসলাম: ট্রাকের নীচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করা যেমন পাপ, তেমনি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়াও মহাপাপ।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন।
‘কলঙ্কিত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এবং আজকের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনায় গয়েশ্বর বলেন, ‘২০১৯ সালের আগে সরকার নির্বাচন দিতে পারে বলে অনেকে বিভিন্ন সময় বলছে। তারা তো নির্বাচিত সরকারই না। তাই তাদের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। চাইলে যে কোনো নির্বাচন দিতে পারে। তারা নির্বাচন দিলেও সে নির্বাচনে নয়ছয় করে আবারো ক্ষমতায় আসবে।
খালেদার মামলার রায় দিতে সরকার তাড়াহুড়ো করছে এমন দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, ‘অনেক আগে এরশাদের মামলার রায় হওয়ার কথা থাকলেও হচ্ছে না। অথচ খালেদা জিয়ার রায় ১২ দিনে দেয়ার তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে। সরকার খালেদা জিয়াসহ আমাদের দলের নেতাদের আদালতের মাধ্যমে সাইজ করে নির্বাচন দিবে।’
তিনি বলেন, সরকার মনে করছে বড় বড় দেশ তাদের পাশে আছে। এজন্য ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার জন্য তারা এমন নির্বাচন দিবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ডাকাতি নয়, ভোট চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘এইচ টি ইমাম, আওয়ামী লীগ নেতা নওফল, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ভালো জানেন ওখানে কি হয়েছিল। কারণ নওফল নির্বাচনের দিন রাতে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে ছিলেন। আর ৫ জানুয়ারি এইচ টি ইমাম যেভাবে নির্বাচন করেছিলেন সেই অফিসাররা তো সবাই মরেনি।’
এম এ হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নিপুন রায় প্রমুখ।
ডিএস