আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর গুলশানের ডিসিসি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুইজন দগ্ধ হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস হেড কোয়াটারের ডিউটি অফিসার পলাশ চন্দ্র মদক বলেন, আগুনে দগ্ধ হওয়া দুইজনকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে ডিসিসি মার্কেটে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মার্কেটের কয়েকশ দোকান পুড়ে গেছে ও দ্বিতল ওই ভবনের একাংশ ধসে পড়েছে। আরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে সার্ভিসের ২২ ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিস হেড কোয়াটারের ডিউটি অফিসার পলাশ চন্দ্র মদক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি বলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান।
এক দোকান মালিক বলেন, মার্কেটের এক নিরাপত্তারক্ষীর কাছে রাত ২টায় তিনি আগুন লাগার খবর পান। ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ওই নিরাপত্তাকর্মী তাকে জানিয়েছেন।
জানা যায়, ভোর সোয়া ৪টার দিকে মার্কেটের পেছনের একটি অংশ ধসে পড়ে। কাছাকাছি সময়ে ধসে পড়ে সামনের একটি অংশও।
গভীর রাতে কর্মচারীদের কাছ থেকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ব্যবসায়ীরা ছুটে আসেন মার্কেটে। তাদের অনেককেই মরিয়া হয়ে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায়। যাদের দোকান তখনও অক্ষত, তারা মালামাল নামিয়ে মার্কেটের সামনের খোলা অংশে জড়ো করতে থাকেন।
চোখের সামনে দোকান আর মার্কেট পুড়তে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন ব্যবসায়ীদের কয়েকজন। এ ঘটনা নাশকতা বলেও অভিযোগ করেন কেউ কেউ।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে মেয়র আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “স্বাভাবিকভাবে মনে হয় বিদ্যুতের আগুন। এতে দাহ্য পণ্য, খাবার, পারফিউম... কোনো জীবনহানি হয়েছে বলে আমাদের জানা নাই।”
মেয়র বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশের ভবন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে চেষ্টাও তারা করছেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে কত সময় লাগবে তা বলা সম্ভাব হচ্ছে না।
এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল বলেন, “নাশকতা কিনা, এটা মেয়রের পক্ষে বলা সম্ভাব না, মেয়র নশকতা এক্সপার্ট না। পুলিশ ভালো বলতে পারবে। তবে মেয়র হিসেবে আমার মনে হয়, নাশকতা না হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ পারসেন্ট।”
ডিএস