আওয়ার ইসলাম: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটনকে নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বাসায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
রংপুর মেডিকেলের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. বিমল চন্দ্র রায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এমপি লিটনের মৃত্যুর কথা সাংবাদিকদের জানান। তিনি আরো বলেন, এমপিকে আশংকাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেলে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে, এমপির ঘনিষ্ট সহযোগি ও তার কোল্ডষ্টোরেজের ম্যানেজার অনিল সাহা ও তার নিকট আত্মীয় (স্ত্রীর বড় ভাই) বেতার জানান, সন্ধ্যে পৌনে ছয়টায় সংসদ সদস্য লিটন তার দ্বিতল বাসভবনের নিচ তলার বৈঠকখানায় বসে কতিপয় দলীয় কর্মীর সাথে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এসময় ৩ জন যুবক হেলমেট পড়া অবস্থায় একটি মটরসাইকেলে করে তার বাসার সামনে আসে। তাদের একজন বাইরের আঙিনায় ‘স্টার্ট’ দেয়া মটরসাইকেলে বসে অবস্থান করছিল। অপর দু’জন এমপি লিটনের সাথে কথা বলার অজুহাতে ঘরের ভেতরে ঢুকে তাকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে আকস্মিকভাবে গুলি ছোঁড়ে।
এর পরই তারা দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে মটর সাইকেলে চড়ে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারিরা এমপিকে লক্ষ্য করে ৩ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। ২টি গুলি তার বুকের দু’পাশে এবং অপরটি উঁরুতে বিদ্ধ হয়। এসময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলির শব্দ শুনে বাড়ির এবং আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তারা মটরসাইকেল নিয়ে ৩ জন যুবককে পালাতে দেখেন কিন্তু তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। একটি সূত্র জানায়, ওই সময় অন্ধকার থাকায় কাউকে চেনা যায়নি। এছাড়া হামলাকারিরা মাথা থেকে হেলমেটও খোলেনি। এমপি লিটনের সাথে ৫ থেকে ৬ জন নেতাকর্মী ছিলেন বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন।
ওই ঘটনার পর পরই তার বাড়ি সংলগ্ন বামনডাঙ্গা বাজারে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এব্যাপারে অনেক চেষ্টা করেও সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ অথবা অন্য কারো সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তারা ফোন রিসিভ করেননি।
মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ডিএস