দিদার শফিক: সমাজে ‘আমর বিল মা’রুফ ও নাহি আনিল মুনকারের’ ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারে স্যোশাল মিডিয়া।
শাবিস্তানের প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ আইনবিদ মুহাম্মদ জাওয়াদ ইখওয়া জাদগান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সময়টা তথ্য-প্রযুক্তির। ভার্চুয়াল জগৎ সম্পর্কে মানুষ এখন উৎসুক। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করেই সময় কাটায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে যদি ইতিবাচক কাজে ব্যবহার করা হয় নিঃসন্দেহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও ‘সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের বারণ’ গোছের একটি দাওয়াতি মাধ্যমে পরিণত হবে।
তিনি আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের শর্তাবলি অক্ষুন্ন রেখে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সৎকাজ ও কল্যাণের পথে আহ্বান এবং অসৎ ও মন্দ কাজে নিষেধ করার দাওয়াতি কাজ সুচারুভাবে আঞ্জাম দেওয়া যেতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়াকে দাওয়াতি মিশন হিসেবে ব্যবহার করার আগে কিছু বিধিনিষেধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদেরকে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়ার মন্দ দিক এড়িয়ে চলতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা বলা, পরনিন্দা করা, সুদগ্রহণ ও দম্ভ প্রদর্শন মন্দ দিক। এছাড়া আরও এমন কিছু মন্দ বিষয় আছে যা প্রাণ হরণকারী বিষের মতো ক্ষতিকর। সোশ্যাল মিডিয়া ভাল-মন্দের পাঠশালা। এখান থেকে ভাল জিনিসের পাঠ নিতে হবে আর মন্দ জিনিসকে এড়িয়ে যেতে হবে।
স্যোশ্যাল মিডিয়ায় যারা মন্দ বিষয়ের চর্চা করে তাদের কথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, যে সমাজে একজন মাদক ব্যবসায়ী বা একজন মাদকসেবী আছে আল্লাহ না-করুন,কিন্তু এটাই বাস্তব সে সমাজে মাদক ব্যবসা ও সেবন ব্যাপকতা লাভ করে। আর সে সমাজের সদস্যরা অক্ষম ও অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে তারা কোন ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারে না। তাই সোশ্যাল মিডিয়াকে কল্যাণের পথে ডাকার মাধ্যম বানাতে হলে আগে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
সূত্র: শাফাকনা ডটকম
ডিএস