আওয়ার ইসলাম: উৎসব ও উৎকণ্ঠার মাঝে বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে। ইতিমধ্যে ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন। তারা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন।
এ নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি উৎকণ্ঠাও বিরাজ করছে নারায়ণগঞ্জবাসী এবং আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ রাজনৈতিক মহলে।
নির্বাচনী এলাকায় আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ ও ভোটারদের নিরাপত্তায় মাঠে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে ৯ হাজার সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ব্যালটে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী হলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর নৌকা ও বিএনপি মনোনীত অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে।
এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোনো প্রার্থী দেয়নি। দলটি ডা. আইভীকে সমর্থন করেছে। অপরদিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রার্থী কামাল প্রধান ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী মো. রাশেদ ফেরদৌস বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল (কোদাল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা) ও ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি এজহারুল হক (মিনার)।
এদিকে ৯টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ৩৮ জন এবং ২৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জন প্রার্থী রয়েছেন।
ইসির হিসাব অনুযায়ী, ২৭ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬২ ও মহিলা ভোটার ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৯ জন।
নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র ১৭৪টি। এর মধ্যে ৪টি অস্থায়ী কেন্দ্র রয়েছে। ভোটকক্ষের (বুথ) সংখ্যা ১ হাজার ৩০৪টি। ভোট গ্রহণে চার হাজারের বেশি নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।