আওয়ার ইসলাম: বড় দিনকে সামনে রেখে হামলার আশঙ্কায় ইউরোপের জনপদ এমনিতেই ছিল আতঙ্কিত। তুরস্ক আর জার্মানির দু’টো ঘটনায় আরো বেশি মাত্রায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
মাস খানেক আগেই উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে থাকা চারটি রাষ্ট্র জার্মানি, ফ্রান্স, বৃটেন ও বেলজিয়ামের সরকারের তরফে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, বড় দিনের আগে শপিং কমপ্লেক্স, হোটেল, রেস্তোরা, মদের দোকান, ট্রেন ও বাস স্টেশনে হামলা হতে পারে। তুরস্কে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতকে হত্যার পর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বার্লিনে বড় দিনের বাজারে ট্রাক তুলে দেয়ার ঘটনাকে একই নিশানা বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাক চাপায় ১২ জন নিহত, ৪৮ জন আহত হয়েছেন।
[caption id="" align="alignnone" width="832"] বার্লিনে বড় দিনের ট্রাক হামলায় প্রাণ হারায় অন্তত ১২ জন[/caption]
সোভিয়েত রাষ্ট্রদূতের হত্যাকারী একজন পুলিশ কর্মকর্তা। হত্যার সময় সে চিৎকার করে বলেছে, ডোন্ট ফরগেট আলেপ্পো। ডোন্ট ফরগেট সিরিয়া। এই দু’টি ঘটনার পর লন্ডন, ম্যানচেস্টার, বার্মিংহামসহ বিলাতের বড় বড় শহরগুলোতে সশস্ত্র পুলিশ টহল দিচ্ছে।
এম আই-৬ এর প্রধান অ্যালেক্স ইয়াঙ্গার বলেন, বৃটেন বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে। গত দুই বছরে অন্তত ১০টি হামলার ছক নসাৎ করা হয়েছে। ফ্রান্স দুই বছর যাবৎ জরুরি অবস্থার মধ্যেই রয়েছে। একাধিক জঙ্গি হামলায় ২৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। জার্মানিতে একাধিক হামলা হয়েছে। অনেকগুলো নসাৎ করেছে পুলিশ।
অতিসম্প্রতি নেইল বোমা নিয়ে এক যুবকের ধরা পড়ার পর সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটলো। ব্রাসেলসেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গত বছর এয়ারপোর্ট ও মেট্রোস্টেশনে জঙ্গি হামলায় ৩২ জন প্রাণ হারান। সর্বশেষ সুইজারল্যান্ডের জুরিখে একটি মসজিদে গুলির ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ জন।
ওদিকে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে ইউরোপে অবস্থানরত দেশটির নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা