আওয়ার ইসলমা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। তবে সার্চ কমিটি গঠনের কোনো প্রস্তাব দেয়নি দলটি।
মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে এসব প্রস্তাব দেয়া হয়।
জাতীয় পার্টির দেয়া প্রস্তাবগুলো হলো- ১. সংবিধান অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন নিয়োগ সংক্রান্ত একটি আইনি কাঠামো প্রণয়ন করা, ২. সেখানে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন রাখার বিধান রাখা, ৩. নির্বাচন কমিশনের আলাদা সচিবালয় করা, ৪. বর্তমান সংসদেই এই আইন পাশ করা, এবং ৫. নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা মূল্যায়নে নয়টি বিষয় বিবেচনায় নেয়া।
কমিশনারদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা মূল্যায়নে নয়টি বিষয় হলো- নিরপেক্ষতা, ব্যক্তিগত একাগ্রতা ও সততা, ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ বয়স, পেশাগত যোগ্যতা, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে জ্ঞান, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা, রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় নয়, অন্য অফিসে নিয়োগ বিধি-নিষেধ এবং চারিত্রিক স্বচ্ছতা।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, 'সংলাপে রাষ্ট্রপতির যে আন্তরিকতা দেখেছি, এতে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আমরা আশাবাদী।'
এর আগে বিকাল ৩টা থেকে বঙ্গভবনের দরবার হলে শুরু হওয়া এক ঘণ্টার আলোচনায় জাতীয় পার্টির ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এইচএম এরশাদ।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এম এ সাত্তার, সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ফখরুল ইমাম, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্ন, দেলোয়ার হোসেন, এসএম ফয়সাল চিশতী, তাজ রহমান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, খালেদ আক্তার ও বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
এআর