আওয়ার ইসলাম: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী ১৯ ডিসেম্বর আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিন হাজিরা না দিলে তার জামিন আবেদন বাতিল করা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জামাদার এ নির্দেশ দেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত বক্তব্য উপস্থাপনের তারিখ ছিল আজ। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় সময়ের আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবীরা।
আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে বলেন, আগামী ১৯ ডিসেম্বর, সোমবার খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হতে হবে। অন্যথায় তার জামিন আবেদন বাতিল করা হবে।
এ সময় আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এআর