দিদার শফিক: পাকিস্তানে ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপন উপলক্ষ্যে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এ প্রস্তুতি বিয়ের জাকজমকতার পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। জনমনে এই নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। কারণ মানুষ ক্রমেই সহিহ ইসলাম থেকে সরে মনগড়া মতবাদে ভিড়ছে।
পাকিস্তানের দৈনিক জং জানিয়েছে তাদের দেশে এবার মিলাদুন্নবীর আনুষ্ঠানিকতা বিয়ের আড়ম্বরতাকেও ছাড়িয়ে গেছে। পাকিস্তানের একটি শহরে ১২ হাজার পাউন্ডের কেক তৈরি করা হয়েছে। এক শহরে ১২শ দুম্বা ও বকরি জবেহ করার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও র্যালি–শোভাযাত্রা তো আছেই।
পত্রিকাটির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিলাদুন্নবী সা. উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন মসজিদ ও প্রাসাদগুলোকে নানান রঙের আলোকবাতিতে সজ্জিত করা হচ্ছে। মুলতানে ৭৫ ফিট লম্বা এবং ৭ ফিট চওড়া ও ১২ হাজার পাউন্ড ওজনের কেক প্রস্তুত করা হয়েছে। ৮ জন কর্মী ১২ দিনে এই কেক তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছেন। চেমনে সাহেবে আগা দরবারে ১২শ দুম্বা ও বকরি কুরবানি করা হবে। দরবারটিতে ১ হাজার ডেগ পোলাও রান্না করা হবে বলে জানা গেছে। রহিম ইয়ার খানের বিভিন্ন গলি ও মহল্লায় সবুজ পতাকা উড়ানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থান ও বাজারসমূহ বৈদ্যতিক ঝাড়বাতিতে সুসজ্জিত করা হয়েছে।’
এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে দিনদিন উদ্বেগ বাড়ছেই। কারণ মিলাদুন্নবী পালন সূচনালগ্ন থেকেই বিরোধপূর্ণ। হাদিস বা পরবর্তী যুগের কোনো কিতাবে এসবের ভিত্তি নেই। আওয়ালিয়া কেরমাগণও এসব পালন করেনি কখনো। তার এ দিন উপলক্ষ্যে রোজা রাখা, দোয়া দরুদ পড়াসহ সিরাতের চর্চা করেছেন বেশি বেশি।
হক্কানি আলেমরা বললেন, মিলাদুন্নবী সা. নামে এ ধরনের ভোজসভা ইসলামে বর্জনীয়। নবীজি বরং এ দিনে মুসলমানদের রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যা সহিহ হাদিসে বর্ণিত রয়েছে।
তাদের মতে, পরিমিতিবোধের সীমায় থেকে কেবল রাসুলের জীবন, কর্ম ও আদর্শের আলোচনার মাধ্যমে চর্চা ও অনুসরণের চেতনাকে উজ্জীবিত করা যেতে পারে। কিন্তু হালে রাসুল প্রেমে নাম ফাটানো ভোজানুষ্ঠান ও লোক দেখানো সভা উদযাপনের মধ্যে আটকে গিয়ে সিরাত চর্চার মূল চেতনাকে হারিয়ে ফেলছে নবির উম্মতগণ। যা মানুষকে ইসলাম থেকে বাইরে নিচ্ছে দিন দিন।
আরআর
এই খবরটিও পড়ুন: জার্মানিতে শরণার্থীদের খ্রিস্টান হওয়ার হিড়িক; কারণ কী?